বোকা বনে গেল রাজ্য পুলিস! বিধানসভার গেটে পৌঁছে সৃজনের হুংকার ‘চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড!’

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ শুক্রবার বিধানসভা অভিযান এসএফআইয়ের (SFI)। শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে দুটি মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিস। যদিও সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya) গতকালই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পুলিসি অনুমতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁরা। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মিছিল হবেই। পুলিসের পক্ষ থেকেও সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল। এদিন এসএফআই-এর মিছিল শুরু হতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শিয়ালদহ চত্বরে। সেখানে ইতিমধ্যেই মিছিল আটকে দেয় পুলিস।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বিধানসভা অভিযানের অনুমতি মেলেনি। সজৃন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাসরা জানিয়ে দেন শুক্রবার বিধানসভা অভিযান হচ্ছেই। আর সেই মতো এদিন দুপুর থেকে হাওড়া-শিয়ালদা চত্বরে জমা হতে শুরু করে বাম ছাত্র যুবরা। কিন্তু, প্রথম তাঁদের মিছিলে বাধা দেওয়া হয়। আটক করা হয় দীপ্সিতা ধর সহ একাধিক এসএফআই কর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে লালবাজারের নাকের ডগা দিয়ে বিধানসভার গেটে পৌঁছে যায় এসএফআই।

এদিন দুপুরে বিধানসভার (West Bengal Assembly) ফার্স্ট গেটে বিরাট পরিমাণ পুলিস বাহিনী এবং ব্যারিকেড নিয়ে প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিস। চারজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সকাল থেকেই ছিলেন সেখানে। অথচ তাঁদের চোখ এড়িয়ে বিধানসভার ওয়েস্ট গেটে পৌঁছে যায় এসএফআই কর্মীরা। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে (Srijan Bhattacharya) দেখা যায় গেটে পতাকা হাতে উঠে বলছেন, ‘চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড, এসে গিয়েছি।’

sfi

বিধানসভার সামনেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোক চেষ্টা করা হয় বাম ছাত্র যুবদের। ছাত্র যুবদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিসের। সৃজন ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকার জেরবার। আমরা আমাদের বক্তব্য জানাতে চাইছি। কেন আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না?’

এদিকে, বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আটক করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয় সৃজন সহ অন্য নেতা কর্মীদের। আগেই আটক করা হয় দীপ্সিতা ধরকে (Dipsita Dhar), ময়ূখ বিশ্বাসরা (Mayukh Biswas)।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর