বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির জেরে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। ফলে দেশের এই তথৈবচ অবস্থার প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সে দেশের মানুষ। কিন্তু এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সরকার দ্বারাই লঙ্ঘিত হচ্ছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজাপাকসে সরকার। একটি রিপোর্টে সরকারের দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্যোশাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করার পরিকল্পনা করছে মানুষ। আর তা ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ সরকারের।
একই সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে বিক্ষোভ রুখতে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যে, দেশে চলতে থাকা ৩৬ ঘন্টার কার্ফুর কারণে কোনও সরকার বিরোধী মিছিল বা বিক্ষোভকারীকেই দেশের কোনও ‘পাবলিক প্লেসে’ ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বভাবতই যেভাবে প্রতি মুহুর্তে জনরোষের আগুন জ্বলে উঠছে প্রতিবেশী দেশটিতে তাতে যে আতঙ্কিত সে দেশের সরকার তা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই জনতার মুখ বন্ধ করতে এহেন একাধিক চরম পদক্ষেপের দিকেই হাঁটছে তারা।
গোটা দেশ জুড়ে ফেসবুক, ট্যুইটার, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, ট্যুইটার পেরিস্কোপ, গুগুল ভিডিও, টিকটক,ভাইবার, টেলিগ্রাম এবং ইন্সটাগ্রাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।উল্লেখ্য, চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। গোতাবায়া রাজাপাকসে সরকারের আমলে সে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে দেশজুড়ে আকাল জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছুরই।
কোথাও মিলছে না এক ফোঁটাও জ্বালানি তেল। জ্বালানির অভাবে একপ্রকার বন্ধ গণপরিবহন ব্যবস্থাও। আকাল দেখা দিয়েছে রান্নার গ্যাসে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে অর্থনীতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে দিনের মধ্যে দেশজুড়ে ১৩ ঘন্টা করে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর এই সমস্ত কিছুই প্রতিবাদেই উত্তাল ২ কোটি মানুষের এই দ্বীপরাষ্ট্র।