বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের তারকাদের যোগদান তৃণমূলে (tmc)। সবুজ শিবিরে যোগ দিলেন ‘ঝিলিক’ ওরফে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য্য (sritama bhattacharya), ‘বাহা’ ওরফে রণিতা দাস (ranita das), ‘লোকনাথ’ খ্যাত দিশা রায় চৌধুরী, সৌপ্তিক চক্রবর্তী। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সোহম চক্রবর্তীও।
এর আগেও তৃণমূলের বিভিন্ন সভা, মিছিলে দেখা গিয়েছে শ্রীতমাকে। এদিন দলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “কাজ করতে গিয়ে দিদির সান্নিধ্য পেয়েছি। বিভিন্ন সমস্যায় পাশে পেয়েছি। আমার বাবাও সমাজকর্মী ছিলেন। তবে মানুষের সেবা করার কাজ খুব একটা সহজ নয়, তৃণমূলে থেকে সেই কাজটা অনেক সহজ হয়ে উঠবে বলে মনে করি।”
রনিতা বলেন, “গত ১০ বছর ধরে দিদির সঙ্গেই ছিলাম। আজ শুধু দলে যোগ দিলাম। আমরা যেমন অভিনয় করছি তেমন করব। যা কাজ দেওয়া হবে তাও করব। আমাদের ভাবনা তরুণ তরুণীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা। আমরা দিদির মতো হতে চাই।”
সম্প্রতি ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ভরত কল, অভিনেত্রী লাভলি মিত্র ও রশিদ খানের মেয়ে সাওনা খান।। সংবাদ মাধ্যমের কাছে দীপঙ্কর দে জানান, তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন তাঁর হাসপাতালের খরচ বহন করে তৃণমূল সরকারই। তাই তিনি বেইমানি করতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকাদের উদ্দেশে তোপ দেগে ব্রাত্য বসু বলেন, “এখনো পুরোটা বিকিয়ে যায়নি। চার্টার্ড ফ্লাইট পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।”
কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা সৌরভ দাস ও অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে পা রাখেন সৌরভ। অভিনেতা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর কাছে সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও সবার চেয়ে জোর গলায়ই বলবেন তিনি।
অপরদিকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে যোগদান করেন কৌশানি। সঙ্গে হবু শাশুড়িমা অর্থাৎ অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্তও যোগদান করেন তৃণমূলে।
এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে কৌশানিকে। অবশেষে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, তিনি ছোট থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। তাঁর পুরো পরিবারই নাকি তৃণমূলের সমর্থক। তাই সেই দলে যোগ দেওয়া তাঁর কাছে ভাগ্যের ব্যাপার।
মমতাকে দেখেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, এমনটাই বক্তব্য কৌশানির। তাঁর কথায়, “আমার প্রথম ছবি পারব না আমি ছাড়তে তোকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমি ছাড়তে পারব না। আমি সামনে থেকে দেখেছি উনি কিভাবে মানুষের জন্য কাজ করেন। দিদি আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। আমার বয়স অল্প জানি। কিন্তু আমি যে পেশার সঙ্গে যুক্ত সেখানে অনেকেই আমাকে দেখে অনুপ্রেরণা পায়। আমি চাই আমাকে দেখে আরো মানুষ এগিয়ে আসুন। অভিনেত্রী হিসাবে সাধ্যমতো মানুষের সাহায্য করেছি। এবার দলে থেকে আরো ভাল কাজ করতে চাই।”