মেনে নেওয়া হল ‘যোগ্য’দের দাবি, SSC ২৬০০০ কাণ্ডে রাজ্য ও কমিশনকে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Published on:

Published on:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কোনও অযোগ্যকে সুযোগ নয়। তারপরও অভিযোগ, অযোগ্যদের নিয়োগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। এই প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) ভর্ৎসনা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘এটা লজ্জাজনক। ট্রুলি শকিং।’ পাশাপাশি ‘যোগ্য’দের স্বস্তি দিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

কী বলল সুপ্রিম কোর্ট? Supreme Court

এদিন চাকরিহারাদের করা মামলায় দাবি করা হয়, এতদিন সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেই অপেক্ষায় ছিলেন তারা, ফলে ফর্ম ফিল আপ করেননি। সময় বাড়ানোর আর্জি জানান তারা। এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন।

মামলাকারীদের দাবি ছিল, ২০১৬ সালের ন্যায় এবারের নিয়োগ পরীক্ষাতেও গ্র‍্যাজুয়েশনে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকুরিরত শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। মামলাকারীদের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এদিনও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য।

আদালতের নির্দেশ, ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে যাঁরা আবেদন করতে পারছিলেন না, তাদের বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হোক। চাকুরিরত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য সাত দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য ও এসএসসি চাইলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে পারে।

এই বিষয়ে নোটিস জারি করে রাজ্য সরকারকে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই ওঠে অযোগ্যদের প্রসঙ্গ। আদালতে আইনজীবীর সওয়াল, রাজ্য এখনও অযোগ্যদের নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একথা শুনেই চরম ক্ষোভপ্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

supreme court(4)

আরও পড়ুন: গুরুতর জখম বিচারপতি, ছেলেকেও মারধর, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগে নড়েচড়ে বসল হাই কোর্ট

বিচারপতি সঞ্জয় কুমার রাজ্য ও এসএসসিকে একজোটে বিঁধে বলেন, “আপনারা এখনও নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকাতে চাইছেন? এটা লজ্জাজনক। ট্রুলি শকিং।” কোনওভাবেই কোনও অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে এদিন ফের স্পষ্ট করেছে আদালত।