বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৪ জনকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বাকি ৫ জনের জামিনের ক্ষেত্রে সহমত হতে পারলেন না দুই বিচারপতি। জাস্টিস অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সবার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় পাঁচ জনকে জামিন দিতে চাননি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ ওই পাঁচ জনের জামিনের বিরোধিতা করেন ওই বিচারপতি। ফলে এবার উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) তৃতীয় বেঞ্চকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পার্থদের (Partha Chatterjee) জামিন নিয়ে ভিন্ন মত হাইকোর্টের দুই বিচারপতির!
এদিন কৌশিক ঘোষ, সুব্রত সামন্ত রায়, শেখ আলি ইমাম এবং রঞ্জন মণ্ডল ওরফে চন্দনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ দু’জনেই। সিবিআইয়ের মামলায় (SSC Recruitment Scam) জামিন পেলেন তাঁরা। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি পাঁচ জনের ক্ষেত্রে ভিন্ন মত দেখা যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহাকে জামিন দিতে চাননি জাস্টিস অপূর্ব সিনহা রায়।
এদিকে পার্থ (Partha Chatterjee), কল্যাণময় সহ পাঁচ জনের জামিনের ক্ষেত্রে বিচারপতি সিনহা রায় বিরোধিতা করায় এই মামলার রায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কাছে গেল। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবার এই মামলা তৃতীয় বেঞ্চে পাঠাবেন। সেখানেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পাঁচ জনের জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘শেষ সুযোগ দিলাম’! পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি! বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে হাইকোর্টের তরফ থেকে এদিন যে চার জনকে জামিন (Bail) দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মিডলম্যান বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই চারজনের জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির কেউই বিরোধিতা করেননি। তবে পার্থদের ক্ষেত্রে ‘বেঁকে বসেন’ জাস্টিস সিনহা রায়। যে কারণে এবার হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। এরপর থেকে জেলের মধ্যেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এই সময়কালে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি। এবারও দুই বিচারপতির ভিন্ন মতের কারণে কার্যত ঝুলেই রইল পার্থদের ভাগ্য।