বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি (SSC Recruitment Scam) বিতর্কে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও সোমবার প্রকাশ করা হয়নি যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা। এদিন সকাল থেকেই এসএসসি ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো সন্ধ্যা ছটা পার হয়ে গেলেও সামনে আসেনি যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা। উপরন্তু ফোর্থ কাউন্সেলিং (SSC Recruitment Scam) থেকে অবৈধ ঘোষণা করায় সন্ধ্যায় আচার্য ভবনের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা। তুমুল বিক্ষোভের পর সারা রাত রাস্তাতেই কাটিয়েছেন শিক্ষকরা। অথচ শৌচালয়ের মতো প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তাটুকুও মেটানো হয়নি তাঁদের।
রাতভর এসএসসি (SSC Recruitment Scam) ভবনের সামনেই কাটালেন শিক্ষকরা
সোমবার রাতটা এসএসসি (SSC Recruitment Scam) ভবনের সামনে রাস্তাতেই কাটিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। কমিশনের ভেতরে ‘বন্দি’ হয়ে ছিলেন চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কর্তারা। এক পর্যায়ে তাঁদের জন্য খাবার ডেলিভারিও হয় বাইরে থেকে। যদিও তা ভেতরে নিয়ে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। খাবারের প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে নিজেরা পছন্দের খাবার অর্ডার করছেন এসএসসি কর্তারা।
শৌচালয়ও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি: গোটা রাত অভুক্ত অবস্থাতেই ধর্না অবস্থান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। এমনকি মহিলাদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থাটুকুও করা হয়নি। রাত গড়াতেই ওই চত্বরে আলিপুরদুয়ার ভবন, বালুরঘাট ভবনের মতো সমস্ত ভবন গুলিতে মেরে দেওয়া হয় তালা। এমনকি করুণাময়ীতে পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটও বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমানবিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন : জি বাংলাকে বড় ধাক্কা, কত কোটির বিনিময়ে চ্যানেল বদলালেন সৌরভ?
বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করেন সজল ঘোষ: আন্দোলনরত শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, আধঘন্টার মধ্যে মহিলাদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা না করা হলে এসএসসি (SSC Recruitment Scam) ভবনের মধ্যে প্রবেশ করবেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দাবি কানেও তোলেনি প্রশাসন। শেষমেষ চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। জল এবং বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, রাজনীতির রঙ যাতে না লাগে তার জন্য তিনি নিজে দূরে রয়েছেন। চাকরিহারাদের পাশাপাশি পুলিশের জন্যও তিনি জল এনেছেন বলে জানান।
আরো পড়ুন : বিবাহিত প্রযোজককে বিয়ে, অনেকে চেনেনও না আদিরাকে, মেয়েকে সবসময় আড়াল করে কেন রাখেন রানি?
এই আবহেই চাকরিহারাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে গতকাল রাতে এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এত অধৈর্য হলে চলবে না। তিনি আরো বলেন, যাঁরা যোগ্য তাঁরা ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করবেন। মাইনে নিয়েও কোনো চিন্তা নেই। সরকার দ্রুত রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্রাত্য।