বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। যোগ্য-অযোগ্য চিহ্নিত না করতে পেরে গোটা প্যানেল বাতিলের রায় দেয় উচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, এখনও একপ্রকার ঝুলে রয়েছে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। এসবের মাঝেই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ২০১৬ সালের নবম-দ্বাদশ শ্রেণির অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীরা যে আন্দোলন করছেন তা ১১৬৫ দিনে পড়ল।
বছরের পর বছরের ধরে হকের নিয়োগের আশায় ধর্না অবস্থান করছেন তাঁরা। এই চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Job Aspirants) জানাচ্ছেন, তাঁরা চান না ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হোক। বরং যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিতকরণের পর যদি অযোগ্য প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া একটু তাড়াতাড়ি হতে পারে।
আগামী ১৬ জুলাই শীর্ষ আদালতে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের মামলার শুনানি হতে চলেছে। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা সেখানে এসএলপি তথা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন করেছেন। অপেক্ষামাণ তালিকায় থাকা চাকরিপ্রারথু অভিষেক সেন জানান, এসএলপি-তে তাঁরা বলেছেন, SSC দুর্নীতির ফলে যে সকল যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা যেন ন্যায় বিচার পান।
আরও পড়ুনঃ ‘৪ জুন প্রচুর জল সাথে রাখুন’! লোকসভা ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে এবার তোলপাড় ফেললেন পিকে
অভিষেক বলেন, ইতিমধ্যেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসংখ্য অভিযোগ প্রমাণিত। SSC-র তরফ থেকে উচ্চ আদালতে প্রথমে জানানো হয়েছিল, ২৫,৭৫৩ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫২৫০ জন প্রার্থী অযোগ্য। তবে পরবর্তীকালে CBI সূত্রে জানা যায়, সেই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি।
অভিষেকের সংযোজন, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যাটা ঠিক কতখানি সেটা আগামী ১৬ জুলাই SSC সুপ্রিম কোর্টে ঠিক করে জানাক। তাঁদের চাকরি বাতিল হলেই আমরা যোগ্যদের তালিকায় স্থান পাব। অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নাম যোগ্যদের সঙ্গে থাকার জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছি’।
রোদ, জল, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিগত ১১৬৫ দিন ধরে ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন অপেক্ষামাণ প্রার্থীরা। তাঁদের আক্ষেপ, যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কের মাঝে তাঁরাই এখন কার্যত উপেক্ষিত। একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘তথ্যের অধিকার আইনে দুর্নীতির সকল তথ্য জোগাড় করে ২০১৯ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সুরাহা হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু কোথায় কী!’ ধর্নার ১০০০ দিন উপলক্ষ্যে নানান রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা এসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও এখনও যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বিভাজনটাই ঠিকভাবে হল না! যে কারণে এখনও তাঁদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ অপেক্ষামাণ প্রার্থীদের।