বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন যায়, মাস যায়, কাটতে চলেছে বছর। ওদিকে এখনও অধরা কাকুর কণ্ঠস্বর! নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গত বছর ইডির হাতে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujaykrishna Bhadra)। তবে গ্রেফতার হলে কি হবে, ‘অসুস্থ’ হয়ে বহুমাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতেই এবার ‘কাকু’র বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি (BJP)।
ঠিক কি অভিযোগ? গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ গুরুতর অসুস্থ না হয়েও এসএসকেএম এর মত সরকারি হাসপাতালে শয্যা দখল করে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মামলায় সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’র ‘এসএসকেএমে’ বহুদিন থেকে শয্যা দখল করে থাকার বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে গত ডিসেম্বর মাসে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, চিকিৎসার প্রয়োজন নেই এমন ‘হেভিওয়েট’দের দিয়ে বেড ভর্তি করা হচ্ছে। আর এই দুর্নীতির ফলে অসুস্থ সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরাও উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কামদুনি মামলায় বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ৮ অভিযুক্ত ও রাজ্যের কাছে জবাবও চাইল আদালত
ওদিকে এই সরকারি হাসপাতাল নিয়ে আগেই গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ইডি। হাসপাতালের উপর তাদের বিশ্বাস নেই বলে আদালতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। হাসপাতালের সুপার পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে ইডি। ইডির অভিযোগের ভিত্তিতেই আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।