বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধিকাংশ মানুষই পড়াশোনা করে ভালো চাকরির (Job) মাধ্যমে স্বচ্ছন্দে জীবন কাটাতে চান। কিন্তু, এমনও কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা প্রথাগত ভাবে চাকরির পথে না হেঁটে বেছে নেন ব্যবসার (Business) পথকে। সঠিক ব্যবসা নির্ধারণ এবং উপযুক্ত পরিশ্রম করেই এখন ব্যবসার মাধ্যমেও সম্ভব লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা।
পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে দেশে বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নবীন প্রজন্মের একটা বড় অংশ ব্যবসা শুরুর দিকে ঝুঁকেছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে তাঁদের সাহায্যার্থেই আমরা এমন একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যার সাহায্যে মাসের শেষে বড় অঙ্কের উপার্জন সম্ভব। পাশাপাশি, এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে সরকারের সাহায্য নিয়েও ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন ইচ্ছুকরা।
সাধারণত আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি অংশেই পাঁপড় এমন একটি খাদ্যদ্রব্য যা পছন্দ করেন সকলেই। যে কোনো উৎসব-অনুষ্ঠানেই খাওয়ার শেষে পাতে পাঁপড় পড়লে খুশি হয় যান সবাই। এদিকে, চাহিদার পাশাপাশি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারে বর্তমানে অনেক রকমের পাঁপড় এসেছে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন, তাহলে পাঁপড় তৈরির ব্যবসা আপনার জন্য অবশ্যই একটি লাভজনক উপায় হতে পারে।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে প্রাথমিক ভাবে ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়। তবে কেউ যদি আর্থিক ভাবে দুর্বল হন তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকার থেকে ঋণ নেওয়ায় সুবিধাও রয়েছে। ন্যাশনাল স্মল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আগ্রহীরা ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা লোন নিতে পারেন।
এমতাবস্থায়, ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে, আপনি আপনার নিজস্ব ব্যবসা স্থাপন করতে পারেন। তবে, এর জন্য ২৫০ বর্গমিটার খালি জমি বা জায়গার প্রয়োজন হবে। এই খালি জায়গায় প্রয়োজনীয় মেশিনগুলি বসানো যেতে পারে। যার মধ্যে থাকবে পাঁপড় তৈরির মেশিন, প্যাকেজিং মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি।
যদিও, এই ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার বিনিয়োগের মধ্যে কর্মীদের ৩ মাসের বেতনের পাশাপাশি ৩ মাসের জন্য পাঁপড় তৈরির কাঁচামালের খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও, কারখানা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, জল ও টেলিফোনের খরচও এই বিনিয়োগের মধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, একবার পাঁপড় তৈরির ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেই পরবর্তী ৩ মাস অন্য কোনো খরচের চিন্তা করতে হবে না। পাশাপাশি, আপনি ক্রমাগত কারখানায় উৎপাদন করতে পারবেন। উৎপাদনের পাশাপাশি পাঁপড় বিক্রি হওয়ার সাথে সাথে লাভ হতে থাকবে। এভাবে পাঁপড় তৈরির ব্যবসা শুরু করে প্রতিমাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়াও, বাজারে আপনার তৈরি পাঁপড়ের চাহিদা বাড়লে লাভের পরিমাণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।