বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মানা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মত এখনও পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫ শতাংশ কার্যকর করেনি রাজ্য সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Sangrami Joutho Mancha) তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে ডিএ প্রদান করার পাশাপাশি উঠে এসেছে সপ্তম পে কমিশন (7th Pay Commission) প্রসঙ্গ।
এ বার সপ্তম পে কমিশন গঠনের জোরদার দাবি | 7th Pay Commission
মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে দেওয়া চিঠিতে উঠেছে সপ্তম পে কমিশন গঠনের কথা। রোপা ২০১৯-এর মেয়াদ ২০২৫-এর ডিসেম্বরেই ফুরোচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে অবিলম্বে সপ্তম পে কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের দাবি, পে কমিশনের সুপারিশ ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর করতে হবে।
তাদের দাবি, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই কমিশনের চূড়ান্ত বা অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যদি বিলম্ব হয় তাহলে কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অন্তর্বর্তী রিলিফ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। কমিশনের সুপারিশ যেন পূর্ণরূপে ও সময়মতো কার্যকর হয়, তা নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কী এবার বকেয়া ডিএ-র পাশাপাশি নয়া বেতন কমিশন নিয়েও চাপ বাড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের? এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞমহল। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দিতে হবে। তবে তা করেনি রাজ্য।
সুপ্রিম ডেডলাইন শেষ হলেও বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অংশ মেটায় নি রাজ্য সরকার। উল্টে লক্ষ লক্ষ কর্মীদের হতাশ করে অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে সরকার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। আদালতে জানানো হয়েছে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জ কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যে ফের বোমা বিস্ফোরণ, ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল দেহ, ফের গেল প্রাণ
এদিকে পাল্টা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বলছে, ‘অর্থাভাব’ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার ন্যায্য ভাতা ও বেতন দেয়নি। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তিন পর্যায়েই সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে ইতিমধ্যেই। সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়মিত বর্ধিত বেতন, চিকিৎসা ভাতা, এইচআরএ দেওয়া হলে, রাজ্যের অন্যান্য কর্মচারীরা কেন বঞ্চিত হবেন? সেই প্রশ্নও তুলেছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন।