রেশনে কারচুপি রুখতে কড়া রাজ্য! সরকারের তরফে নেওয়া হল এই বিশেষ ব্যবস্থা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেশন দোকানে (Ration Shop) কারচুপির অভিযোগ নতুন নয়। আর এই কারচুপির জেরেই বহুবার ডিলারদেরকেও আমজনতার কাছ থেকে বাঁকা কথা শুনতে হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকরা অভিযোগ তোলেন যে রেশন দোকানের পক্ষ থেকে তাদের পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে না। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তর রেশনে কারচুপি বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই বৈদুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বা ইলেকট্রিক্যাল ওয়েট মেশিন বসানোর কাজ শুরু হবে প্রায় ২১ হাজার রেশন দোকানে। খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে এই প্রক্রিয়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে, জোরকদমে এই নতুন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, রেশন দোকানে থাকা ই পস যন্ত্রের সাথে যুক্ত হবে বৈদ্যুতিক ওজন মাপার যন্ত্র। একজন উপভোক্তা কত পরিমান খাদ্যশস্য নিচ্ছেন কিংবা রেশন দোকানের পক্ষ থেকে কতটা পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য উপভোক্তাকে দেওয়া হচ্ছে সেই সব তথ্য খাদ্য দপ্তর এর সার্ভারে পৌঁছাবে এই ই পস যন্ত্রের সাহায্যে। এর ফলে দফতরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালানো সুবিধা হবে।

রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে অনেক আগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় গ্রাহকদের রেটিনা স্ক্যান ও আধার লিঙ্ক। এরই সাথে শুরু হয়েছিল আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি। খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে এই পদ্ধতি শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু দোকানের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য না দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২১ হাজার দোকানে বসানো হবে ইলেকট্রিক ওয়েট মেশিন।

ration money (1)

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এই ব্যাপারে একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে যোগ্য প্রাপকরা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। ডিজিটাল ওয়েটিং মেশিনের সাথে যুক্ত হবে ই পস। অনেক দোকানেই ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রায় সমস্ত রেশন দোকানে এই পদ্ধতি চালু করতে।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর