ঠেলার নাম বাবাজি! ‘মেডিক্যালে ভর্তিতে জাল শংসাপত্র রয়েছে’, সুপ্রিম কোর্টে স্বীকার করল রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে মেডিকেলে ভর্তি (MBBS Admision Scam) মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি সৌমেন সেনের (Soumen Sen) সংঘাতের জেরে এমবিবিএসে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা সরেছে সুপ্রিম কোর্টে। মেডিক্যালে ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। এরই মধ্যে মেডিক্যালে ভর্তিতে ১৪টি শংসাপত্র জাল। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সাফ স্বীকারোক্তি রাজ্যের।

সুপ্রিম কোর্টে দুর্নীতি কবুল রাজ্যের। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি এফআইআর করা হয়েছে। ১৪টি সার্টিফিকেটও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে রাজ্যে। তবে, এছাড়া আর কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে লিখিত আকারে বক্তব্য জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে আগামী ৩ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলার সব পার্টিকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি মামলা নিয়ে নজিরবিহীন সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন দুই বিচারপতি সেই অভিযোগের একাংশ যে সত্যিই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কার্যত ‘স্বীকার করে নিল’ রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে সোমবার সংরক্ষিত আসনের পড়ুয়াদের পক্ষের আইনজীবী অভিযোগ করেন, মেডিক্যালে সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫২টি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ১৪টিই ভুয়ো। এরপরই এককথায় ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।

রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল এই অভিযোগ ‘কবুল’ করে নিয়ে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি FIR করা হয়েছে। ১৪টি শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, বর্তমানে এই বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে? ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে কোন কোন প্রেক্ষিতে FIR দায়ের করা হয়েছে? এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার? এই সমস্ত বিষয়ে রাজ্যকে একটি হলফনামা জমা দিতে হবে।

supreme court

আরও পড়ুন: সব তছনছ! দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা, ভয়ঙ্কর আবহাওয়ার খবর দিল IMD

এদিকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক মামলায় সিবিআই এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেও বহাল রয়েছে। গোটা রাজ্যে স্টেট-স্পনর্সড কোরাপশন হয়েছে। আর এত পরিমাণ দুর্নীতিতে রাজ্যের ভূমিকা কী তাও আমরা দেখেছি। অর্থাৎ, এ কথা স্পষ্ট যে সরকারের কোথাও না কোথাও ব্যথা লেগেছে। সেই থেকেই এই সমস্ত বলছে।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর