বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর (Sandeshkhali ED Attack) ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই মামলা আসার পর থেকেই ‘ফাঁস’ হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরীহদের গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দারা এবার এমনটাই অনুমান করছেন বলে খবর।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে উপস্থিত হন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে প্রহৃত হন তাঁরা। এই ঘটনার ৭ দিনের মাথায় ৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদের পর সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের অনুমান, ইডি (ED) পেটানোর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের অনেকেরই কোনও যোগ নেই!
সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের (State Police) হাতে গ্রেফতার ৭ ব্যক্তিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায়, অনেকেই ইডি পেটানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এরপর ধৃতদের মধ্যে ২ জনকে সঙ্গে নিয়ে গত রবিবার সন্দেশখালি উপস্থিত হন গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁরা পুলিশের হাতে গ্রেফতারির ঘটনা অভিনয় করে দেখান বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানো হল বিবেককে! রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
ধৃতদের দাবি, সন্দেশখালি কাণ্ডের কিছুদিন পর সরবেড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রধান তথা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লা তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখেন। এরপর সেখান থেকে তাঁদের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তবে ধৃতদের বয়ানের পর তদন্তকারীদের অনুমান, আসল অভিযুক্তদের আড়াল করার জন্যই এই কাজ করেছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। আদালতের চোখে ধুলো দিতেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে একথা ফাঁস হওয়ার পর সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘সন্দেশখালিতে তৃণমূল এবং পুলিশ হাত মিলতে বহুদিন ধরে মানুষের ওপর অত্যাচার করছিল। ইডির ওপর হামলার পরেও সেই আঁতাত বজায় ছিল। শাহজাহানকে পালানোয় সাহায্যই শুধু নয়, তদন্তের ক্ষেত্রেও যে রাজ্য পুলিশের প্রহসন এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার’।