‘১৭ জুনের মধ্যে…’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! রেশন দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের শেষ থেকে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam Case) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। খাদ্য দপ্তরে দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক সহ বহুজনা। চলছে তদন্ত। এরই মাঝে এবার রেশন দুর্নীতি নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। উচ্চ আদালতে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চার্জশিট দাখিল হয়েছে ৬৫টি মামলায়। ২০টি মামলায় তদন্ত চলছে। ২টি মামলা রাজ্যের তরফ থেকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়েছে।

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তভার চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ওরফে ইডি (ED)। এই মর্মে রাজ্যের কোন কোন থানায়, মোট কতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটার একটি তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ইডি।

আদালতকে জানানো হয়, এই তালিকা জমা দেয়া হলে সেই অনুযায়ী আগামী বিচারপর্ব এগোতে পারে। সেই মতই আজ রেশন দুর্নীতি নিয়ে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য (Government of West Bengal)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য।

এদিন রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার পর ইডি নিজের অবস্থান জানাবে। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে ৬টি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বলা হয়েছিল, ওই মামলাগুলির তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আগামী ২৪ জুন অবধি বহাল রাখা হয়েছে। ইডির তরফ থেকে রাজ্যের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই রেশন দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামী ১৭ জুন এই নিয়ে আদালতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

আরও পড়ুন: ‘চাকরির প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে নিয়েছেন বিপুল টাকা! এবার দেবের ‘খাস’ লোকের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা

এদিকে গতবছর অক্টোবর মাস থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র। ইডির দাবি, খাদ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকাকালীন রেশন বণ্টনে দুর্নীতি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন তিনি। এফআইআর দায়ের হওয়া থেকে শুরু করে সিআইডি তদন্ত হয়ে চালকল-গমকল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা- সব কিছুর বিষয়েই জানতেন তিনি। তা সত্ত্বেও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।