বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতায় বনেদি বাড়ির পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) বাড়ির পুজো। এই পুজো তাঁর শ্বশুরবাড়ির। আগে ঢাকা বিক্রমপুরে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতে পুজো হলেও সুদীপার (Sudipa Chatterjee) বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে কলকাতার বাড়িতে শিফট করা হয় এই পুজো। প্রতিবছর নামজাদা তারকারা ভিড় করেন সুদীপার পুজোয়। তবে এবছর জাঁকজমক একটু কম রাখছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন সুদীপা (Sudipa Chatterjee)। যদিও নিয়ম রীতি সবই মানা হবে।
ত্রিবেণী মতে পুজো হয় সুদীপার (Sudipa Chatterjee) বাড়িতে
সংবাদ মাধ্যমের হয়ে বাড়ির পুজোর নানান অজানা কথা শেয়ার করেছেন সুদীপা (Sudipa Chatterjee)। তাঁদের বাড়ির পুজোয় নানান অলৌকিক ঘটনা ঘটে। সুদীপা (Sudipa Chatterjee) বলেন, পুজোর কদিন মা তাঁর কাছে মেয়ের মতো হয়ে যান। সন্তানের মতোই মায়ের সঙ্গে তুইতোকারি করেন তিনি। ত্রিবেণী মতে হয় পুজো। ষষ্ঠী থেকে সপ্তমী বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। সপ্তমী থেকে অষ্টমীর আগে পর্যন্ত হয় শৈব মতে মায়ের পুজো। অষ্টমীর দিন শৈব এবং বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। আর সন্ধি পুজোয় বলিদানের পর তন্ত্র মতে পুজো হয়। নবমীর পর নারায়ণকে তুলে দেওয়ার পর মাছ ভোগ দেওয়া হয় মাকে।
ভোগ রাঁধেন সুদীপাই
সুদীপা (Sudipa Chatterjee) জানান, প্রতি দিন অন্নভোগের রান্না করেন তিনি। মুখ বেঁধে মায়ের নাম জপ করতে করতে ভোগ রাঁধতে হয়। সুদীপার পর তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম বা তাঁর পুত্রবধূ এই ভোগ রাঁধতে পারেন। তবে তাঁকে অবশ্যই কুলীন ব্রাহ্মণ হতে হবে বলে জানান সুদীপা। এটাই নাকি নিয়ম।
আরো পড়ুন : একা মিঠুন নয়, নন্দনে ব্রাত্য দেব-শিবপ্রসাদের পুজোর ছবিও! নেপথ্যে কি আরজিকর প্রতিবাদ?
রয়েছে নানান অলৌকিক ঘটনা
বাড়ির পুজোর নানান অলৌকিক ঘটনার কথাও জানান সুদীপা (Sudipa Chatterjee)। একবার নাকি দশমীতে পিলসুজ থেকে আগুন ধরে যায়। মায়ের কোমর পর্যন্ত উঠে যায় আগুনের শিখা। এদিকে সুদীপার (Sudipa Chatterjee) শাড়িতেও ধরে যায় আগুন। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে তাঁর শরীরে একটি আঁচড়ও লাগেনি। আরেকবার সুদীপা জানান, তাঁদের বাড়িতে এক অতিথি এসেছিলেন যিনি মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করেন না। অথচ তিনিই একদিন সকলকে হাঁকডাক করে দাবি করেছিলেন, মায়ের বুকের কাছটা যেন নড়ে উঠতে দেখেছিলেন তিনি! সুদীপা (Sudipa Chatterjee) বলেছিলেন, মা তাঁর সঙ্গে দুষ্টুমি করছেন।
সুদীপার বাড়ির পুজোয় রয়েছে আরেক বিশেষত্ব। তাঁর রক্ত মিশিয়ে মায়ের মুখে রঙ করা হয়। সুদীপা জানান, এক বছর নাকি মা তাঁদের উপরে রাগ করেছিলেন। কিছুতেই মুখে রঙ আসছিল না। তখন শিল্পীর কথায় নিজের কয়েক ফোঁটা রক্ত দিয়েছিলেন সুদীপা। সেই ধারা আর বন্ধ করেননি।