বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের আগেই মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না বাবা মায়েদের। কারণ উচ্চশিক্ষার সরাসরি দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। সেই সূত্র ধরে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (student credit card) কথাও বলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন এই কার্ডের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা অবধি ঋণ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। নির্বাচনে বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই নিজের প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর মমতা। ইতিমধ্যেই কৃষক বন্ধুর টাকা বাড়িয়ে ১০০০০ করা হয়েছে। দুয়ারের রেশন প্রকল্প শুরু করার জন্যও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
গত ৩০ জুন নিজের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিও পালন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নবান্ন থেকে এই বিশেষ ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন করে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। আগেই সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, ঐকশ্রী–সহ একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। ভোটের আগে পড়ুয়াদের জন্য যে ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা চালু করা হল। টাকার অভাবে আর কারও লেখাপড়া বন্ধ হবে না।”
ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে শুধু ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং কিম্বা ডিপ্লোমা কোর্স নয়, গবেষণা, চাকরির প্রস্তুতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা লোনের ব্যবহার করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। এই ঋণের গ্যারান্টার সরকার। ১৫ বছরের মেয়াদে পড়াশোনার জন্য এই ঋণ পাবেন তারা। ঋণ গ্রহণের জন্য সর্বাধিক বয়স ৪০ বছর।
এবার সারা রাজ্য জুড়ে দুর্দান্ত প্রভাব ফেলল রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। জানা গিয়েছে মাত্র ৫ দিনেই লোনের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। যার জেরে সবমিলিয়ে এই প্রকল্পের রাজ্য সরকারের খরচ হতে চলেছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আবেদনগুলির স্ক্রুটিনি করা হচ্ছে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন পড়ুয়া, সেই প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কেও খোঁজ নেবে শিক্ষা দপ্তর। যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে ঋণের টাকা পৌঁছে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আশা করা যায় এতে উপকৃত হবেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী।