চাকরি দিতে পারবেনা দিদি তাই ফেল করিয়ে দিয়েছে! পাশ করানোর দাবিতে ধর্না উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্যদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। মোট ২৭২ জন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে মেধাতালিকায়। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে পাশের হারও এই বছর অত্যন্ত ভালো। কিন্তু, তারপরেই দেখা যায় ওই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি শিলিগুড়ি বাল্মীকি বিদ্যাপীঠের কয়েকজন পড়ুয়া। এমতাবস্থায়, শনিবার স্কুলের সামনেই অদ্ভুত এক যুক্তি সাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বেশ কয়েকজন ছাত্রী।

তাদের দাবি, পরীক্ষায় পাশ করলেই চাকরি দিতে পারবেনা সরকার। আর সেই কারণেই নাকি তাদের এই পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এদিকে, এহেন আজব বিক্ষোভকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা গিয়েছে, চলতি বছর শিলিগুড়ি বাল্মীকি বিদ্যাপীঠের মোট ১৭০ জন ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। যদিও, ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যায় যে, তাদের মধ্যে প্রায় তিরিশ জন ছাত্রী পাশ করতে পারেনি। এমতাবস্থায়, শনিবারই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে বসে অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা।

পাশাপাশি তারা দাবি জানিয়েছে যে, একাদশ শ্রেণির মতো সঠিকভাবে নম্বর দিয়ে তাদের এবার পাশ করানো হোক। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের প্রতিও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে তারা। পড়ুয়ারা বলেছে, তারা পাশ করলেই চাকরি দিতে পারবেনা সরকার। সেজন্য ফেল করানো হয়েছে তাদের। এদিকে, এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপ দাস জানিয়েছেন, “এখানে আমরা কিছুই করতে পারবোনা। বোর্ডের নির্দেশমত পরীক্ষা পরিচালনা করেছি আমরা। এরপরে যাদের আপত্তি আছে তারা অবশ্যই স্ক্রুটিনি করতে পারে। এছাড়াও, প্রয়োজনে আদালতেও যেতে পারে তারা।”

যদিও, বিক্ষোভরত ছাত্রীরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। এই প্রসঙ্গে দুর্গা সিং নামের এক অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী জানিয়েছে যে, “আমরা পরীক্ষায় পাশ করলে আমাদের চাকরি দিতে পারবেনা দেখেই দিদি ফেল করিয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের পাশ করানো হোক।” পাশাপাশি, স্কুল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে পুষ্পবালা সাহা নামের এক ছাত্রী অভিযোগ জানিয়েছে, “আমরা এখনও মার্কশিট হাতে পাইনি ৷ তাই কিভাবে ফেল করলাম বুঝতে পারছিনা। আমাদের পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। অথচ যারা ক্লাসে না এসে আমাদের থেকেও খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে তারা পাশ করে গেছে। এমনকি, স্কুল কর্তৃপক্ষও আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর