বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের উদুপির একটি কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসরুমে হিজাব পরার বিরোধিতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। মুসলিম পড়ুয়ারা হিজাবকে তাদের মৌলিক অধিকার বলে দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করার পরের দিন কুন্দাপুর সরকারি কলেজের শতাধিক পড়ুয়া গেরুয়া স্কার্ফ পরা কলেজে পৌঁছেছে। পড়ুয়ারা বলছেন, তাদের কলেজে মেয়েরা হিজাব পরে রুমে ঢুকতে পারলে, তাহলে গেরুয়া স্কার্ফ পরে আসতে পারবে না কেন।
গেরুয়া স্কার্ফ পরে কুন্দাপুরের সরকারি পিইউ কলেজে পৌঁছন পড়ুয়ারা বলেন, প্রায় ২৮ জন ছাত্রী তাদের ধর্মীয় পরিচয় হিজাব পরে ক্লাসে আসে। এর প্রতিবাদে বুধবার গেরুয়া স্কার্ফ পরে ক্লাসে আসার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। হিন্দু পড়ুয়ারা বলছে, কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব পরা নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা গেরুয়া স্কার্ফ পরেই কলেজে আসবে।
কলেজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও কুন্দাপুরের বিধায়ক হলদি শ্রীনিবাস বলেন, কলেজের একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করতে কোনো পক্ষকেই অনুমতি দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে কলেজ ম্যানেজমেন্টকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীনিবাস মুসলিম ছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও বৈঠক সফল হয়নি। ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা হিজাব পরা মেয়েদের ব্যাপারে অনড় ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিধায়ক বলেছেন যে মুসলিম ছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি, তাই তিনি যারা হিজাব এবং গেরুয়া স্কার্ফ পরে কলেজে আসে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
A meeting was also conducted by management along with local MlA with parents of the students. A parent of the girl student can be heard saying we didn't discriminate. We sent our students during all the #hindu festivals. Why is that you are discriminating with out students (2/2) pic.twitter.com/OSDbdravXM
— Imran Khan (@KeypadGuerilla) February 2, 2022
এই বৈঠকের একটি ভিডিও’ও সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মুসলিম অভিভাবকদের বল্যতে দেখা যায় যে, তারা কখনও কোনও ধর্মের প্রতি বৈষম্য করেননি এবং সমস্ত হিন্দু উৎসবের সময় তাদের সন্তানদের কলেজে পাঠান। অভিভাবকরা বলছেন, “যখন হিজাব পরার কথা আসছে, তাহলে এটা আমাদের মধ্যে বাধ্যতামূলক। আমাদের এটা করতেই হবে। পড়ুয়াদের সঙ্গে মধ্যে বৈষম্য করবেন না। ওড়া এখানে পড়াশোনা করতে আসে।”