বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার দিল্লী নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর (Subramanian Swamy) একটি টুইটে দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে বাংলায় নতুন বিতর্ক শুরু হয়। তিনি জানান ‘২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রতিশ্রুতিগুলি দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা শুরু করা হবে। কারণ, এর অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি আমরা রাখতে পারিনি। এর মধ্যে গোর্খাল্যান্ডকে অগ্রাধিকার দিয়ে, সেখানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করাটা জরুরি।’
দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জিম্বাও একই সুরে সুর মিলিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি জানান। অসমে এনআরসি জারী হওয়ার পর থেকে এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে পাহাড়বাসী সংঘবদ্ধ হয়। তাঁরা গোর্খাল্যান্ডকে (Gorkhaland) আলাদা করবার দাবি জানায়। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল জানান, ‘‘এটা কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিষয়। আমি কিছু বলতে পারব না।’’ জেলার কয়েক জন নেতা বলেছেন, ‘‘রাজ্য(বাংলা) ভাগের বিষয় জেলায় উঠলেই সমতলে ভোটে এর প্রভাব পড়বে। এটা হবে তৃণমূলের হাতে মোয়া তুলে দেওয়ার মতো বিষয়।”
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা দলের উত্তরের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে সুর তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পশিমবঙ্গের (west bengla) বিভাজন তো অনেক দূরের কথা। বাংলার মাটি টুকরো করার ষড়যন্ত্রকারীদের মানুষদের আমরা ছেড়ে কথ বলব না। তিনি আরও বলেন, আর বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতি যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তা দিল্লি, ঝাড়খণ্ড নির্বাচন ফলাফলেই স্পষ্ট।’’ তিনি আরও বলেন, আলাদা রাজ্যের বদলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থ সেটা পাহাড়কে বাংলা থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র। সেদিকে তৃণমূল সরকার সমস্ত শক্তি দিয়ে আটকাবে।’’
সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলছেন, ‘‘সিএএ, এনআরসি নিয়ে পাহাড়ের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে রয়েছে। এবং সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে বিজেপি ।’’ বিজেপি দার্জিলিং থেকে তিন বার জিতেছে এবং দু’বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেও কিছু করেনি। এতে ওদের কাজের প্রতি স্বদিচ্ছার অভাব প্রকাশ পায়।