বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধ্যবসা ও মনের জোর থাকলে কোন কিছু করা অসম্ভব নয়। ঠিক সেই রকমই নেটে’র পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করতে হয় (Succes Story)। আর কঠোর পরিশ্রম করে গুটি কয়েক ছাত্র-ছাত্রী এই পরীক্ষায় পাস করতে পারে। আজ রইলো ঠিক সেই রকমই এক সফল নেট পরীক্ষায় সফল ছাত্রীর গল্প বাংলা হান্টে।
সংসার সামলে প্রথমবারেই উত্তীর্ণ নেটে বিহারের গৃহবধূ নীতু কুমারী (Succes Story)
কথায় আছে ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’। এই কথাটা আবারও প্রমান করল বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের এক গৃহবধূ। সংসার সামলে সন্তান ও স্বামীকে দেখভাল করে ফাঁকা সময় পড়াশোনা করতেন তিনি। মনের অদম্য জোর ও জেদকে সঙ্গী করে ইউজিসি নেটের (UGC NET) দেয়। প্রথমবার এই পরীক্ষায় বসেই সফলতা অর্জন করেন নিতু কুমারী। ২৪ বছর বয়সের নীতু এখন বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।
জানা যায়, মধেপুরার প্রত্যন্ত গ্রাম রামনগর মহেশ। সেখানকার এক সাধারণ গৃহবধূ, নীতু কুমারী। বাড়ির কাজ পাশাপাশি ছোট সন্তানের দেখ ভাল করে স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষা দেওয়ার সময় তিনি ঠিক করেছিলেন নেট (NET) দেবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। চলতি বছর জুনে তিনি পরীক্ষা দেন। প্রথমবার পরীক্ষাতেই সাফল্য আসে তার।
আরও পড়ুন: ফ্রিজে প্লাস্টিকের মধ্যে ফল-সবজি রাখেন? বড় ক্ষতি হতে পারে আপনার, আজই বদলান অভ্যেস
ইউজিসি নেটের (UGC NET) পরীক্ষায় হিন্দি ভাষার তিনি পেয়েছেন ৭৬.৯১ শতাংশ। এই পরীক্ষায় পাশ করে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ (JRF) এবং পিএইচডি-র জন্যও আবেদন করেন তিনি। কিভাবে এটা সম্ভব হলো সে বিষয়ে মনিতু কুমারী জানান ভোরে উঠে ঘরের সব কাজ করে নিতাম। তারপর পড়তাম সকাল ৯টা পর্যন্ত। আবার দুপুরের দিকে অল্প পড়াশোনা করতাম। প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি।
এই পরীক্ষায় পাশ করার পর, নীতু কুমারী অকপটে স্বীকার করেন তিনি নির্দিষ্ট কোন বই পড়েনি। শিক্ষকরা যা নোটস দিত সেগুলোই ভালোভাবে পড়তেন। পাশাপাশি এই সাফল্যের পিছনে তাঁর স্বামী ও নানাজি’র অবদান অনস্বীকার্য। পাশাপাশি তিনি অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সমাজ ও সাহিত্য নিয়ে ভবিষ্যতের কাজ করতে চান নীতু কুমারী ।