বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আমাদের চারপাশে রোজই এমন কিছু গল্প শোনা যায়, যা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রেরণা জোগায়। এমনই একটি গল্প হল মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলার বাসিন্দা ওয়াসিমা শেখ-এর। শেষ কয়েক মাস ধরে তিনি মহারাষ্ট্রের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-এর পদটি সামলে আসছেন। কিন্তু তার আজ এই জায়গায় পৌঁছনোর গল্পটা অনেকেরই জানা নেই। দীর্ঘসময় ধরে কঠিন লড়াই চালানোর পর মহারাষ্ট্র পাবলিক সার্ভিস কমিশনে তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করে তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদটি পেয়েছেন।
অত্যন্ত গরিব ঘরের মেয়ে ওয়াসিমা-র ছিল কেবল একটাই স্বপ্ন। সেই স্বপ্নটি বড় হয়ে ডেপুটি কালেক্টর হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। মা সংসার চালাতেন কেবল চুড়ি বিক্রি করে সেই টাকায়। ছোট থেকেই কোনওদিনই স্বচ্ছলতার মুখ দেখেননি ওয়াসিমা। তার অস্ত্র ছিল কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাস। সেই সঙ্গে কঠিন পরিশ্রম-কে সঙ্গী করে নিজেকে যোগ্য তৈরি করতে থাকেন। গ্রামের টাউন কাউন্সিল স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পর ওয়াসিমা হাই স্কুলেও পড়াশোনা চালিয়ে যান। কিন্তু আঠারো বছর বয়স হতেই তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় হায়দার নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে।
যে সময় তার বিয়ে হয়, সেই সময় তিনি এই সময় মহারাষ্ট্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই ব্যাপারে তাকে পূর্ণ সমর্থন জানান তার জীবনসঙ্গী। কালেক্টর ওয়াসিমা জানান তার স্বামীর অবদানেই তিনি আজ কালেক্টর হতে পেরেছেন। তিনি ২০১৮ সালে প্রথমবার সিভিল সার্ভিস দেন। প্রথম পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় দ্বিতীয়বার একই পরীক্ষাতে বসেন ওয়াসিমা। গতবছর মহারাষ্ট্র পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার সাথে সাথেই তিনি মহারাষ্ট্র মহিলা বিভাগে তৃতীয় স্থান করেছিলেন। তার কাহিনী এখন অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে মহারাষ্ট্রের যুবসমাজ-কে।
महाराष्ट्र:- भाई ने रिक्शा चलाकर पढ़ाया और एमपीएससी की टॉपर बन गईं #वसीमा_शेख
वसीमा शेख जी को डिप्टी कलेक्टर बनने की दिली मुबारकबाद और उनके भाई को दिल से सैल्यूट। ❣️ pic.twitter.com/ylWu9TA93H— Mohammad Munajir (@munajir92) June 28, 2020
হার না মানা প্রচেষ্টা আর দৃঢ় মনােভাব একজন সাধারণ ব্যক্তিকেও তার সাফল্যের দিকে পৌঁছে দিতে উপযোগী। একসময় ওয়াসিমার পরিবারের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন ছিল যে, তার মা চুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই রোজগার থেকেই মেয়ের জন্য পড়াশােনার খরচ বহন করতে হতো। ছোট ভাই-ও রিক্সা চালিয়ে সাহায্য করতেন দিদিকে।