WhatsApp থেকে খাড়া করেছেন ৬,৪০০ কোটির কোম্পানি! এই ব্যক্তির ভক্ত আম্বানিও, এখন পরিস্থিতি করুণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তির তকমা যাঁর কাছে রয়েছে তিনি হলেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হল প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকা। তবে, এই পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য, মুকেশ আম্বানি বছরের পর বছর ধরে একাধিক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন। এমতাবস্থায়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Industries) চেয়ারম্যান ইনস্ট্যান্ট ফুড ডেলিভারি অ্যাপ Dunzo-তেও প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন। যা বর্তমানে একটি বড় সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জানিয়ে রাখি যে, ২০১৪ সালে কবির বিশ্বাসের (Kabeer Biswas) দ্বারা শুরু হওয়া Dunzo প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল।

কাজ করেছেন প্লাস্টিক কারখানায়:

মূলত, ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে Dunzo-র গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি মুকেশ আম্বানির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এরপরে মুকেশ আম্বানি সেখানে ১,৬০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা জানাবো সেই ব্যবসায়ী সম্পর্কে যিনি মুকেশ আম্বানির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। উল্লেখ্য যে, কবির বিশ্বাস হলেন একজন কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার। এমবিএ করার আগে তিনি সিলভাসার একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন।

Success Story of Kabeer Biswas

Airtel-এর সেলস অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসের অভিজ্ঞতা:

এদিকে, ওই প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে কিছু ব্যবসায়িক দক্ষতা শেখার পর তিনি Airtel-এ সেলস ও কাস্টমার সার্ভিসে কাজ শুরু করেন। এরপর বিশ্বাস ওপেন কোম্পানি হপার শুরু করেন। তাঁর প্রথম স্টার্টআপ হাইক দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। যা তাঁকে উৎসাহিত করে। এরপরে তিনি বেঙ্গালুরু আসেন এবং অঙ্কুর আগরওয়াল, দলভীর সুরি এবং মুকুন্দ ঝা-এর সাথে সেখানে Dunzo শুরু করেন। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্লিঙ্কিট এবং সুইগি ইন্সটামার্টের আগে গ্রোসারি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইটেম সরবরাহ শুরু করেছিল।

আরও পড়ুন: ২২ বিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের কমে নামল ভ্যালুয়েশন! করুণ অবস্থা Byju’s-এর

সংস্থাটি শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হিসেবে:

Dunzo এখন মেট্রো সিটির একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এটি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হিসেবে শুরু হয়েছিল। যেখানে গ্রাহকরা তাঁদের অর্ডার ওই গ্রুপেই পোস্ট করতেন। এমতাবস্থায়, ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের ভিত্তিতে, Dunzo অ্যাপ একটি কোম্পানির রূপ নিয়েছে। এদিকে, বেঙ্গালুরু ছাড়াও, সেটি অন্যান্য শহরে প্রসারিত হয়েছে। মুকেশ আম্বানি এই স্টার্টআপে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং রিলায়েন্স রিটেল সেখানে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, এরপরে Dunzo-র মার্কেট ক্যাপ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৪০০ কোটি টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন: ভুয়ো আইনজীবী হয়ে জিতেছেন ২৬ টি মামলা! ধরা পড়তে তিরস্কারের বদলে প্রশংসা পাচ্ছেন অভিযুক্ত

ঘটে বড় লোকসান:

উল্লেখ্য যে, অত্যন্ত ভালো পারফরম্যান্সকারী স্টার্টআপটি হঠাৎই লাইনচ্যুত হয়ে FY23-তে ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান নথিভুক্ত করেছে। এটি গত বছরের তুলনায় ২৮৮ শতাংশ বেশি। জানা গিয়েছে, Dunzo বর্তমানে নগদ সঙ্কটের সাথে লড়াই করছে। গত কয়েকদিনে সংস্থাটির কো-ফাউন্ডার ও ফাইন্যান্স হেড সহ টপ লেভেল একজিকিউটিভরা চলে যাওয়ায় বড় প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও, কর্মচারীদের বেতনের দেরি এবং বড় আকারের ছাঁটাই Dunzo-র মার্কেট ক্যাপকে প্রভাবিত করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর