শত্রুদেশের ঘুম ওড়াবে আকাশ মিসাইল! কম উচ্চতায় উড়েও নিকেশ করবে শত্রুঘাঁটি, সফল হল পরীক্ষা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শত্রু দেশগুলির চিন্তা বাড়িয়ে বর্তমান সময়ে দেশের (India) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সরকারের তরফে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনাও। এই আবহেই আকাশ মিসাইলের (Akash Missile) সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল দেশ। সদ্যই ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়।

জানিয়ে রাখি যে, আকাশ মিসাইলের এই উৎক্ষেপণ করা হয় Defence Research and Development Organisation অর্থাৎ DRDO-র তরফে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পরীক্ষায় সফলভাবে তার টার্গেটে আছড়ে পড়েছে মিসাইল। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক এই মিসাইলে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত ফিচার্স।

যার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এই মিসাইল অত্যন্ত কম উচ্চতা দিয়ে উড়ে গিয়ে শত্রু শিবিরে আছড়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি, এই মিসাইল মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে পারে শত্রু শিবিরের ঘাঁটি। শুধু তাই নয়, যেহেতু মিসাইলটি উঁচু দিয়ে ওড়েনা তাই, শত্রু শিবিরের তরফে এটির হদিশ পাওয়াও খুব একটা সহজ নয়।

আরও পড়ুন: ১৩০ কিমি স্পিড, ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় আগুন লাগল বিমানে! ফেঁসে ১২২ যাত্রী, ভাইরাল ভিডিও

এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং DRDO থেকে শুরু করে IAF সহ PSU এবং শিল্পের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি বলেন এই সিস্টেমের সফল উন্নয়নের ফলে দেশের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। মূলত, এই নতুন মিসাইলের মাধ্যমে আকাশপথে ভারতের প্রতিরক্ষা যে শক্তিশালী হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের হাত ধরে আরও চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি! উদ্বোধনেই হতে পারে ১,০০,০০০ কোটির ব্যবসা

উল্লেখ্য যে, এই মিসাইলে রয়েছে লঞ্চার, মাল্টি-ফাংশন রাডার এবং কমান্ড, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিকার ও কন্ট্রোল এবং কমিউনিকেশনের মতো বিষয়। এছাড়াও, রয়েছে ট্র্যাকিং সিস্টেম। এমতাবস্থায়, মিসাইলটির উৎক্ষেপণ পর্বের সাক্ষী ছিলেন DRDO থেকে শুরু করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড ও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের প্রতিনিধিরা।

ad

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর