সোনার দামে শাড়ি বিকোচ্ছেন সুদীপা, ১ লাখি ঢাকাই দেখে কটাক্ষের ঝড় নেটপাড়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রান্নাঘরের রানি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে (Sudipa Chatterjee) নিয়ে ট্রোলিং (Trolling) তো কম হয়না। কখনও ছেলেকে সোনার পৈতে পরানো নিয়ে ট্রোলড হয়েছেন আবার কখনও বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় গিয়ে ‘প্রথমবার’ পান্তা ভাত খেয়ে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। বাঙালি হয়ে কখনও পান্তা খাননি এই বিষয়টাতেই আপত্তি জানিয়েছে সবাই। আবারও একবার চরম কটাক্ষের শিকার রান্নঘরের রানি।

একথা তো সকলেই জানেন যে, সুদীপা একজন ঘোরতর ব্যবসায়ী। নিজস্ব রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে নিজস্ব শাড়ির ব্যবসা সবকিছুই রয়েছে তার। যে কারণে মাঝেমাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবির্ভাব হন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে মাঝেমাঝেই শাড়ির অ্যাড দিয়ে থাকেন। এই যেমন সেদিনই বাংলাদেশি ঢাকাই শাড়ির ছবি পোস্ট করেন। যা দেখার পর চক্ষু চড়কগাছ সকলের।

আসলে সুদীপা যে শাড়ির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তার নামের উচ্চারণ করতে গিয়েই দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড়। পাশাপাশি শাড়ির নাম দেখে মাথায় হাত পড়েছে অনেকেরই। সুদীপার পোস্ট থেকে জানা গেছে যে, এই বাংলাদেশি ঢাকাইগুলির দাম মাত্র ৫৫,০০০ থেকে শুরু। আর এই শাড়ির সর্বোচ্চ দাম নাকি মাত্র ১,৩০,০০০ টাকা।

আরও পড়ুন : স্টার জলসার জনপ্রিয় জুটি এখন বলিউডে! নতুন সিরিয়ালে ফিরবেন এই দুই তারকা

যে শাড়ি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া যায় সেই শাড়ির দাম নাকি লাখ টাকারও উপরে। আর তাও আবার ওনলি! এই বিষয়টাতেই মজা পেয়েছেন নেটিজনরা। এইদিন রান্নাঘরের রানি সুদীপা তার পোস্টে লেখেন, ‘ঢাকাই জামদানি শাড়ি। ৫৫,০০০ থেকে ১,৩০,০০০ পর্যন্ত দাম। এ জিনিস সবসময় চাইলেই পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের শাড়ি আজ রাতেই চলে যাবে ফেরত। এই কটা বাকি রয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন : TRP তলানিতে, বন্ধ হচ্ছে ‘এক্কা দোক্কা’র সফর! কবে হবে শেষ সম্প্রচার? জানালেন সোনামণি 

তিনি আরও লেখেন, ‘যদি কারও পছন্দ হয় এখনই পেমেন্ট করতে হবে। সব অরিজিন্যাল ঢাকাই। ১৪০ থ্রেড কাউন্টের শাড়ি। প্রতিটা শাড়ির দাম নিচে লেখা আছে।’ সুদীপার এই পোস্ট দেখে কমেন্টে উঠেছে কটাক্ষের ঝড়। এক ইউজার লিখেছেন, ‘যাঁরা কিনবেন তাদের ছবিগুলি একটু দেবেন, দেখব।’ অন্যজন লিখলেন, ‘আপনি বললেন আর সঙ্গে সঙ্গে ফোন চলে এল এই শাড়ি কিনতে! পাগল নাকি?’ জনৈক কটাক্ষ, ‘বেশ তো হাঁড়ি কড়াই নিয়ে ছিলেন, এসব শাড়ির বিজনেস করতে এসে লোকের পিলে চমকে দিচ্ছেন কেন?’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর