বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েকটা দিন খুব খারাপ কেটেছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়দের (Sudipa Chatterjee)। গোটা পরিবারেই ছিল শোকের আবহ। কিছুদিন আগেই সন্তানসম পোষ্যকে হারিয়েছেন সুদীপা। এতদিনের সঙ্গী ভানুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সঞ্চালিকা। অবসাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ই স্ত্রীর মন ভাল করার উপায় বের করেন।
সংবাদ মাধ্যমের হয়ে সুদীপা লিখেছেন ভানুর কথা, গত মাসে যে চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে। ‘রান্নাঘর’ এর রানী জানান, অগ্নিদেবকে বিয়ে করেছিলেন তিনি ভানুকে কাছে পাওয়ার লোভে। তখন অবশ্য ছিল ভানুর মা। জন্মের সময়ে প্রায় মরমর অবস্থা হয়েছিল সদ্যোজাত ভানুর। সুদীপার হাতেই প্রথম কেঁদে ওঠে নবজাতক।
সেই থেকে সুদীপার ন্যাওটা ভানু। আদিদেবের থেকে এই চারপেয়ে সন্তানকে কোনো অংশেই কম ভাল বাসতেন না সুদীপা। কারণ ভানুর মাধ্যমেই তাঁর প্রথম মাতৃসুখ পাওয়া। সুদীপার উপরে ভারী অধিকার বোধ ফলাত ভানু। অন্য কোনো পোষ্যে আদর করলেই গোঁসা হত তার। তাই সুদীপা ভুল করেও অন্য পোষ্যকে আদর করতেন না। আবার ভানুকেও শর্ত দিয়ে রেখেছিলেন, অন্য মহিলার আদর খাওয়া চলবে না তার।
ছোট্ট আদিদেব যখন এল সুদীপার কোলে তখন বেশ মুষড়ে পড়েছিল ভানু। ভেবেছিল, মায়ের আদর হয়তো ভাগ হয়ে গেল। সেই জন্য আদিদেবের সঙ্গে তেমন বন্ধুত্ব হয়নি ভানুর। যদিও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সবারই খুব প্রিয় ছিল সে।
জামাইষষ্ঠীর দিন সবাই যখন উৎসবে ব্যস্ত, সুদীপার বাড়িতে তখন বিষাদের ছায়া। তারপর থেকে দিন দিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন সুদীপা। সন্তানসম পোষ্য হারানোর শোক যে কতটা বাজে বুকে! মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠেও ভুল বকতেন সুদীপা।
স্ত্রীর অবস্থা দেখে অগ্নিদেবই উপায় বের করলেন। তাঁদের পরিবারে এল ভান্টু ওরফে ভানু পার্ট টু। এখন অনেকটাই সামলে নিয়েছেন সুদীপা। জানেন, ভানুর জায়গা কেউই পূরণ করতে পারবে না। তার স্মৃতি আর ভান্টুকে সঙ্গে নিয়েই আবার মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন সঞ্চালিকা। দূর্গাপুজোর প্রস্তুতি করতে হবে তো।