বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পূর্ব রেলে (Eastern Railway Zone) দুই স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী একটি সেতু ভেঙে ফেলা হবে বলে খবর মিলছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পূর্ব বর্ধমানের খানা জংশন থেকে বীরভূমের রামপুরহাটের লুপ লাইনে নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনে মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু ভেঙে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি রেলের
তরফে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, খানা জংশন থেকে রামপুরহাট লুপ লাইনের মধ্যে থাকা নোয়াদার ঢাল ও বনপাস স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী রেল সেতু ভেঙে তা পুনরায় নতুন করে নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে কারণও উপস্থাপিত করা হয়েছে। মূলত, রেলের পূর্ত দফতরের ডেপুটি চিপ প্রজেক্ট ম্যানেজার (IRSE) এন কে গৌরব পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের কাছে এই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট সেতুটি অত্যন্ত পুরনো এবং জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে।
যার কারণে সেতুটি একেবারেই সুরক্ষিত নয়। এমতাবস্থায়, সেটি ভেঙে ফেলে ফের নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে। এদিকে, সামগ্রিকভাবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে কম করেও এক বছর সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হবে। পাশাপাশি, বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, “আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
আরও পড়ুন: গরমের যন্ত্রণা থেকে এবার ছুটি! মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে জলের দরে AC নিয়ে এল Tata Group
এদিকে রেলের তরফে দেওয়া এই চিঠির পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, যে সেতুটিকে ভেঙে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেটির ওপর দিয়ে নোয়াদা ছাড়াও আলিগ্রাম ও দেয়াশা-সহ মোট তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীরা এটাও দাবি করেছেন যে, তাঁদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল ওই সেতু। এমন পরিস্থিতিতে, দীর্ঘ এক বছর ধরে এই সেতু বন্ধ থাকলে তাঁরা কিভাবে যাতায়াত করবেন এই নিয়েই শুরু হয়েছে উদ্বেগ।
আরও পড়ুন: এবার ATM থেকে ক্যাশ তুলতে গেলে পকেটে পড়বে টান! লাফিয়ে বাড়ছে চার্জ, দিতে হবে এত টাকা
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে গুসকরা-২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবীর মণ্ডল জানিয়েছেন, “রেলের তরফে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হোক, নাহলে আমরা যাতায়াত করব কিভাবে? স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে এলাকার কেউ অসুস্থ হলে ৫ কিলোমিটার দূরে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” এদিকে, বছর চারেক আগে এই সেতুটি সংস্কার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তখন প্রায় মাসখানেক ধরে রাস্তা বন্ধ ছিল। সেই সময়ও এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন। তবে, এবার দীর্ঘ এক বছরের জন্য এই সেতু বন্ধ থাকলে বিকল্প উপায় ঠিক কি হবে তা এখনও স্পষ্ট নয় গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে।