বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার তৈরি করেছে নতুন ত্রাণ তহবিল। কিন্তু সেই তহবিল প্রকাশ্যে আসতেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। রাজ্যের বিরুদ্ধে তহবিল তছরূপের ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সম্প্রতি তিনি প্রশ্ন তুললেন, “কোথায় গেল কেন্দ্রের পাঠানো ৫ হাজার কোটি টাকা?”
দিল্লি যাওয়ার আগে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)
মঙ্গলবার সকালে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের যে শেয়ার, তা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সমান। সেই টাকা গেল কোথায়?” তিনি আরও দাবি করেন, “এই SDRF ফান্ডের জন্য কেন্দ্র ৭৫ শতাংশ টাকা দেয়। কিন্তু সেই ফান্ডের অর্থ ঠিক কীভাবে খরচ হল, রাজ্য তার কোনও জবাব দেয়নি।”
উত্তরবঙ্গ ত্রাণ তহবিল ঘিরে নতুন বিতর্ক
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে নতুন ত্রাণ তহবিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই তহবিলে যে কেউ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতে পারবেন। তবে সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই তহবিল শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলার কাজেও ব্যবহৃত হবে।
কিন্তু রাজ্যের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্র যে বিপর্যয় মোকাবিলার তহবিল দিয়েছে, তার কোনও হিসেব রাজ্য দেয়নি। নতুন তহবিল তৈরি করে পুরনো অর্থের তছরূপ ঢাকতে চাইছে সরকার। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতাদের।
বিরোধীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, কোরোনার সময়েও রাজ্য সরকার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল তৈরি করেছিল। এবারও সেই ধাঁচেই রাজ্য গঠন করেছে নতুন ত্রাণ তহবিল। তবে বিজেপির দাবি, এই নতুন তহবিল আসলে পুরনো অর্থ লোপাটের আড়াল মাত্র।
কী এই SDRF ফান্ড?
SDRF (State Disaster Response Fund) ফান্ড হল সরকারের তৈরি হচ্ছে এমন একটি তহবিল, যা রাজ্যগুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে অর্থ সাহায্য দেয়। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, রাস্তা ও বাড়িঘর পুনর্নির্মাণের মতো কাজেই এই অর্থ ব্যবহার করার নিয়ম। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, গত ৫ বছরে এই ফান্ডে কেন্দ্র ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই অর্থ কোথায় কোন কাজে খরচ করেছে তার কোনও স্বচ্ছ হিসেব দেয়নি।