‘অনুব্রত মুখ খুললে তৃণমূলের সবাই জেলে যাবে’, দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্ক যেন চরমে উঠেছে। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ‘নিরপেক্ষতা’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শাসক দল, আবার অপরদিকে অনুব্রত ইস্যুতে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি।

সম্প্রতি, আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট আর এর মাঝে এদিন তৃণমূল নেতা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, “অনুব্রত মুখ খুললে তৃণমূলের সবাই জেলে চলে যাবে।”

উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে সকলের সামনে। একাধিক বেআইনি সম্পত্তি পাওয়ার পাশাপাশি বোলপুরে একের পর এক জমি এবং অন্যান্য কোম্পানির হদিস মেলে। ইতিমধ্যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং পুলিশ কর্মীর উপরও নজর রয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। এর মাঝে সম্প্রতি আদালত দ্বারা অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নন, একই সঙ্গে এ সকল দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নিচ থেকে উপরমহল পর্যন্ত প্রায় সকলেই জড়িত রয়েছেন বলে অতীতে একাধিকবার মন্তব্য প্রকাশ করে বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা। এদিন আক্রমণের সেই ঝাঁঝ যেন আরো বাড়িয়ে তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ দাবি, “অনুব্রত মণ্ডল যদি মুখ খোলেন, তাহলে তৃণমূলের নিচ থেকে উপর মহল পর্যন্ত সকলেই জেলে যাবেন।” সুকান্তর এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

sukanta bjp tmc

উল্লেখ্য, এদিন দীর্ঘ বৈঠকের পর পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে অনুব্রতর। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতিনিধিরা। এক্ষেত্রে বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে কেষ্টকে বহাল রাখা হলেও অপরদিকে পূর্ব বর্ধমানের মোট তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনুব্রতর স্থানে দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি নেতা জানান, “আসলে তৃণমূল বর্তমানে ব্যালেন্স করে চলছে। কারণ ওরা জানে, যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুলে দেয়, তাহলে সবাই জড়িয়ে পড়বে।” যদিও এখনো পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে পাল্টা কোনো মন্তব্য করা হয়নি; তবে সুকান্তবাবুর এহেন বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর