বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার অভিনেতাদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক। শুধু তাইই নয়, এদিন তিনি বিঁধতে ছাড়লেন না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও।
কিন্তু ব্যাপারটা হল কী? সম্প্রতি রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প বাংলায় পুরষ্কৃত হয়েছে। এদিন সেই ব্যাপারেই মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘পুরস্কারটা এখন কোনও বিষয় না। অভিনেতাদেরও অনেক পুরস্কার দেয় বহু সংস্থা। পুরস্কার কেনা যায়। কম পয়সার নাচলে পুরস্কার দেওয়া হয়।’ এহেন বক্তব্যের মাধ্যমে অভিনেতাদের চূড়ান্ত অপমান করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এমনটাই অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন রাজ্যের শিল্পীমহলও।
এদিন দিলীপ ঘোষকে নিয়েও চূড়ান্ত বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি। এদিন দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমি আড়াই বছর সাংসদ পদের দায়িত্ব সামলানোর পর রাজ্য সভাপতি হয়েছি। উনি কয়েকমাসে হয়েছিলেন।’
বিগত কিছুদিন ধরেই ক্রমাগত সামনে আসছে বিজেপির অন্দর মহলের কোন্দলের ছবি। দলের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হচ্ছেন একের পর এক নেতা নেত্রী। দল ছেড়েছেনও বহু। এরই মধ্যে দলের সংগঠন প্রসঙ্গে ঘোরতর সব অভিযোগ এনে সোচ্চার হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরার মতন নেতারা। আজই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিধায়ক অশোক দিন্দা। উনিশের লোকসভা ভোটে যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে যেন একেবারেই ঘুরে গিয়েছে খেলা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে গোহারা হারার পর থেকেই ভাঙন ধরে গেরুয়া শিবিরে। ক্রমশ দূর্বল হতে থাকে সংগঠন। দলের অন্দরে শুরু হয় বিক্ষোভ এবং বিদ্রোহ। এরই মধ্যে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকেও বদলে ফেলে আনা হয় একাধিক নতুন মুখ। দিলীপ ঘোষের বদলে গদিতে বসেন সুকান্ত মজুমদার। যার ফল হয় আরওই উলটো। যা আরও বাড়িয়ে তোলে অভিযোগ এবং ক্ষোভের আগুনকে। দল ছাড়েন জয়প্রকাশ মজুমদারের মতন দুঁদে বিজেপি নেতাও। রিতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুদের কোনঠাসা হয়ে লাগাতার অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুরের একধিক গোপন বৈঠক সব মিলিয়ে আরও ঘোরালো হয় পরিস্থিতি। তারই মধ্যে রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্য যে চূড়ান্ত শিলমোহর দিল অন্তর্কলহের জল্পনায় এবার তা বলাই বাহুল্য।