বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক কালে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। চাকরি দুর্নীতি মামলায় লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বেআইনিভাবে চাকরি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ক্রমশ জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। একাধিক্ষেত্রে টাকা আদায় করে পরবর্তীতে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।
সেই সংক্রান্ত একটি ঘটনা সম্প্রতি সামনে আসে, যেখানে অভিযুক্তের পরিবারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে আর এবার সেই ঘটনাকে সমর্থন করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ইতিমধ্যে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
সম্প্রতি, ভগবানপুরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে শিবশঙ্কর নায়েক নামে ঐ ব্যক্তি গ্রামবাসীদের টাকা মেরে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এর মাঝে আবার তার স্ত্রী এবং ছেলে সহ পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, শিবশঙ্কর নায়েকের স্ত্রী এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা। সম্প্রতি, তাদেরকে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং তাদের বাড়ির লোকেদের এবার থেকে বেরোনো অসুবিধা হয়ে যাবে।” একই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি তো সবে শুরু। এরকম অনেক ঘটনাই দেখা যাবে।” তবে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে ঘিরে বর্তমানে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। একটি মহলের দাবি, কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। তবে সে ক্ষেত্রে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর কিংবা হুঁশিয়ারি দেওয়া উচিত কাজ নয়।