বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার দুপুর থেকে নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। একাধিক জায়গায় ধরপাকড় শুরু হয় বলে অভিযোগ। ছাত্র আন্দোলনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তির দাবিতে এদিন বিকেলে লালবাজারের দিকে মিছিল করে এগোতে থাকেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এবার বিজেপির সেই কর্মসূচিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুঁড়ল পুলিশ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি।
অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar), সরিয়ে নিয়ে গেল পুলিশ!
এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, রুদ্রনীল ঘোষ সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট ও দলের নেতা, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের (Lalbazar Abhijan) দিকে মিছিল করে যান সুকান্ত। এরপর সেখানেই বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ছাত্র সমাজের যে সকল আন্দোলনকারী আজ গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মুক্তির দাবি তুলতে থাকে বিজেপি শিবির। অভিযোগ, এরপর আচমকা কোনও কিছু না জানিয়ে টিয়ার গ্যাস শেল ছোঁড়ে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা অনির্বাণ বলেন, প্রথমে লাঠি মারতে শুরু করে পুলিশ। এরপর কোনও কিছু না জানিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ‘আরজি কর ইস্যুতে ন্যায়বিচার না হলে আমি ইস্তফা দেব’! আরও চাপে মমতা?
অনির্বাণ (Anirban Ganguly) বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের এতটা অবনতি! আনপ্রফেশনাল! নামেই একসময়কার বিশ্বসেরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন না বিশ্বসেরা! একেবারে জঘন্যতম’। বিজেপি নেতা বলেন, আজ তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে পরিস্থিতি ‘রণক্ষেত্র’ করে তোলা হয়।
লালবাজার অভিযানের পাশাপাশি নবান্ন অভিযান নিয়েও কথা বলেন পদ্ম নেতা। অনির্বাণ বলেন, আজ সারাদিনব্যাপী যে প্রতিবাদ হয়েছে, নবান্ন অভিযান মানুষের অভিযান ছিল। কোনও দল বা নেতা নয়, এটা জনগণের অভিযান ছিল বলে দাবি করেন তিনি।