‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হানা দেবে ED-CBI’, সুকান্ত মজুমদারের দাবি ঘিরে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতির ঘটনার সামনে এসেছে, যাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলার দরুণ কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এর মাঝেই এবার বাংলার রাজ্যপালকে দুর্নীতি ইস্যুতে স্মারকলিপি তুলে দিলে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে চরম কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ইডি ও সিবিআই যাবে।”

বর্তমানে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসক দল। এই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অতীতে দুর্নীতি এবং অন্যান্য একাধিক ইস্যুতে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে পৌঁছে যেতেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা। সেই মতো এদিনও নয়া রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল এবং আরো একাধিক বিজেপি নেতারা। দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করেই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

পরবর্তীতে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান,” বর্তমানে রাজনীতিকে কিছু মানুষ উপার্জনের কেন্দ্র বানিয়েছে। এটা অনুচিত। উপার্জনের জায়গা কখনোই রাজনীতি নয়। সেটা বারংবার প্রমাণ করেছেন মোদীজি।”

সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অবশ্য এই ঘটনায় তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, অনুব্রতর উদ্দেশ্যে ভূয়সী প্রশংসা করতেও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গে দুজনকেই কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “গোটা ঘটনার দায় অনুব্রত মণ্ডলের। যারা দুর্নীতি করেছে, তারা কেউ ছাড়া পাবে না। ওনার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন একজন পুলিশ কর্মী ছিল। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতার সাহায্য না থাকলে যে বিশাল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছে, তা কখনোই সম্ভব হতো না। পরবর্তীতে যদি দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম আসে, তাহলে তাঁর বাড়িতেও সিবিআই যাবে।”

sukanta bjp tmc

একই সঙ্গে তৃণমূলের খেলা দিবস প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশকে সরিয়ে ওরা প্লে গ্রাউন্ডে আসলে আমরাও খেলব।” যদিও বিজেপি নেতার এ সকল বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “ওরা ব্যোমকেশ বক্সী হয়ে গিয়েছে। নাহলে এত কিছু জানছে কি করে? সিবিআই বরং যে সকল তথ্য পাচ্ছে, তার মিডিয়াকে না দিয়ে আদালতে জানাক।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর