বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘নবান্ন অভিযান’-কে কেন্দ্র করে চরম কটাক্ষ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। ‘যে ভিড় হয়েছিল, সেটা পুলিশ এবং মিডিয়ার’ মন্তব্যের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ‘আলু ভাতে’ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র আর এবার তৃণমূল নেতাকে পাল্টা আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে বাচাল ঘোষ বলে কটাক্ষও করেন সুকান্তবাবু।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। সেই উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকে শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একাধিক স্থানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি লাগে, আবার অপরদিকে তমলুকে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর করে বিরোধী দলের কর্মীরা।
এর মাঝেই আবার সাঁতরাগাছিতে রওনা দেওয়ার মুহূর্তে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছিল। সকলকে প্ররোচনা দিয়ে যাচ্ছিলো। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এর পিছনে ১০ থেকে ১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ওদের আসলে ফান্ডের অভাব নেই। সিবিআই এবং ইডিকে বলে চলেছি। তবুও তদন্ত করছে না।”
একইসঙ্গে কুণালবাবু বলেন, “ওদেরকে একটাই কথা বলতে চাই, প্রশাসনিক দিক থেকে আপনারা কৌশল খাটাতে পারলেন না। আপনাদের মিছিলে গতি ছিল না। দিলীপবাবু বলেছিলেন, যদি কেউ বাধা দেয়, তাহলে রাস্তায় বসে পড়বেন। তাও শুভেন্দুবাবু বসেননি। আমি ওকে প্রশ্ন করতে চাই, এর পিছনে কারণ কি? আসলে ওর দম নেই।” পরবর্তীতে বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যে ভিড় হয়েছিল সেটা সম্পূর্ণটাই পুলিশ এবং মিডিয়ার। তাছাড়া আরও লোক হয়নি।”
এরপরই কুণাল ঘোষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বিজেপির মিছিলে নাকি লোক হয়নি। কে এই কথা বলছে? তিন বছর ধরে জেল খাটা বাচাল ঘোষ। বাচাল ঘোষকে বলব, আমাদের ভিডিওটা দেখে নেবেন। বাংলার সকল প্রান্ত থেকে লোক এসেছিলেন আমাদের মিছিলে।”