বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) আগে টানা দুদিনের বঙ্গ সফরে মোদী। শনিবার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) বিরাট জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে দাঁড়িয়ে বাংলায় ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মঞ্চে মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে, জনসভার সূচনা করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর মঞ্চে দাঁড়িয়েই একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন সুকান্ত। লোকসভার আগেই আজ লড়াইয়ের ঝাঁঝ দ্বিগুন করে তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
নাম না করে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) কার্যত তুলোধোনা করেন সুকান্ত মজুমদার। কৃষ্ণনগরের ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে সুকান্ত বলেন, ‘ভাবতে অবাক লাগে, মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকে একজনকে সাংসদ করেছিলেন। তাঁর নামও আমি বলতে চাই না। তিনি বলেন, মা কালী নাকি মদ খায়, আর এসব শুনেও মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে থাকেন। এমন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমি লজ্জিত।’
এখানেই থামেননি সুকান্ত। এরপর তিনি বলেন, ‘সামান্য লিপস্টিক-পারফিউমের লোভে সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়ে দেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে সুকান্ত বলেন, ‘ ভাবতে অবাক লাগে, একজন সাংসদ সামান্য কিছু পয়সার লোভে, পাউডার, বিদেশি কোম্পানির বিভিন্ন পারফিউমের লোভে তাঁর যে লগ-ইন আইডি, সাংসদের সেটা অন্য লোককে দিয়ে দেয়। বিদেশ থেকে অন্য একজন সাংসদের লগ-ইন আইডিতে প্রবেশ করে।’
আরও পড়ুন: আবেদন বাতিল, পরীক্ষা দিতে পারবে ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী? সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার বসলো আদালত
তৃণমূলকে বিঁধে এই ইস্যুতেই সুকান্ত বলেন, ‘আজ সাংসদ এমন একজনকে, সাংসদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে, আর এত কিছুর পরেও তাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। ভেবেছেন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ৪০% ভোট আছে বলে এখান থেকে জিতে যাবেন।’