বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘চোরের মায়ের বড় গলা। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে গোটা বাংলা জুড়ে চোর তৈরি হয়ে চলেছে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে’, এদিন মালদায় (Malda) আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগদান করে ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, প্রাথমিক টেট দূর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার এবং গরু পাচার মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হেফাজতে। এই পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে একঘরে করতে মরিয়া সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির মত বিরোধী দলগুলি।
আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি, যা ইতিমধ্যে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি সভা করে চলেছে তারা। সেই উপলক্ষ্যেই এদিন মালদায় আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। প্রায় তিন কিলোমিটার পথ জুড়ে আয়োজিতএই মিছিলে সুকান্তবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খগেন মুর্মু, গোপাল সাহা, পার্থসারথি ঘোষ সহ আরো অনেক শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত, মালদার বৃন্দাবনী ময়দান থেকে শুরু হয় এই মিছিল। উক্ত মিছিল হতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে তাঁর নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এবং অনুব্রত ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। সম্প্রতি দিদি বলেছেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে নাকি বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। অনুব্রত গরু চুরি করে জেল হেফাজতে গিয়েছেন। তবে দিদি এমন ভাবে কথা বলছেন, যেন মনে হচ্ছে উনি ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন বলেই ওর জেল হেফাজত হয়েছে। আসলে কালীঘাটের টালির চালা চোরেদের পাঠশালা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে গোটা বাংলা জুড়ে চোর তৈরি হয়ে চলেছে। আর তাদের বিরুদ্ধে আমরা ক্রমশ আন্দোলন গড়ে তুলছি। খাদ্য মন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বহু দুর্নীতি করেছে। ওর মেয়ে কেবল টিউশনি নিয়েই ৩ কোটি টাকা জমিয়ে ফেলেছে। অপরদিকে, কেবল মাছের ব্যবসা করে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর মেয়ের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছে, যার মূল্য ১৭ কোটি টাকা। এই দৃশ্য অতীতে বাংলা কখনোই দেখেনি। এ দুর্নীতি রুখতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।”