‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার হলে …. ‘ পুলিশের রদবদল প্রসঙ্গে মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর কান্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন নানা মহল থেকে। বিশেষ করে রাজ্যের শাসক বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে দাবি করতে শুরু করেছে পুলিশ এখন ‘সরকারের হাতের পুতুল’! তাই সরকারকে বাঁচাতেই তারা নানান কাজ করে চলেছে। এরই মধ্যে বুধবার রাতেই রাজ্য পুলিশের একাধিক পদে বিরাট রদবদল ঘটে গিয়েছে।

মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

কলকাতা পুলিশের মতই এই রদবদল থেকে বাদ যায়নি হাওড়া পুলিশও। এবার রাজ্য পুলিশের এই রদবদল নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুলিশের ব্যর্থতাকে তুলে ধরেই তিনি বলেছেন,’আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তাঁরা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপে এই রদবদল হল।’

পাশাপাশি বেলডাঙা, শ্যামপুর, ও রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনায় এদিন সরাসরি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিস্ফোরক অভিযোগ এনে এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, ‘যখন হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয় তখন নীরব থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এটাই কি গণতন্ত্রণের ছবি?’

আরও পড়ুন: জোর ঝটকা! আরজি কর কাণ্ডে কেন্দ্র এবার যা জানাল … রাতের ঘুম উড়ল বিনীতের?

এরপরেই এদিন তিনি পুলিশের বদলির একটি নির্দেশ পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে একাধিক পুলিশ কর্তাদের বদলি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে মুরলীধর শর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে তাঁর এই পদের দায়িত্ব সামলাবেন  প্রণব কুমার।

অন্যদিকে রদবদল হয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটেও। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের পদ থেকে স্বাতী ভাঙ্গালিয়াকে তাঁকে বসানো হচ্ছে সাইবার ক্রাইম সুপারের পদে। অন্যদিকে এবার থেকে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলাবেন বিশ্বজিৎ মাহাতো।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর