বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির রাজঘাটে সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচীর ফলে সৃষ্টি হয় তুমুল উত্তেজনার। তৃণমূলের অভিযোগ অমিত শাহর হাতে থাকা দিল্লি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি করেছে। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বাধা দেওয়ার অভিযোগও তোলে তৃণমূল।
এমন অবস্থায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তোপ দাগলেন অভিষেকের বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদার আজ বলেছেন, নীরবে উগ্রপন্থী সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে হনুমানের মতো লাফাতে গেছেন। ওনারা ভারতের ইতিহাস-ভূগোল জানেন না।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগেই মিলবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! DA নিয়ে বড়সড় চমক, কপাল খুলবে সরকারি কর্মচারীদের
কলকাতা বিমানবন্দরে আজ সুকান্ত মজুমদার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, হুমকি দিচ্ছে গুন্ডা-মস্তানের মতো। বাংলার মানুষ দেখছেন সেটা। গান্ধীজীর সমাধিস্থলে গিয়ে হনুমানের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীরা লাফালাফি করেছে। নেতাদের ফোন চুরি করে নিয়েছে নিজেদের কর্মীরাই। যেমন তেমন ফোন নয়, আইফোন ১৫ চুরি হয়ে গেছে।
আরোও পড়ুন : সাবধান, আর মাত্র কিছুক্ষণ! শুরু হবে দমকা হাওয়ার সাথে ঝেঁপে বৃষ্টি, এই জেলাগুলিতে জারি ‘হাই অ্যালার্ট’
শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতার আরোও সংযোজন, কেউ হাত দেয়নি অভিষেকের গায়ে। এক ঘন্টার জন্য প্রথমবারের মতো বন্ধ রাখতে হল রাজঘাট। ওদের জানা উচিত সারা পৃথিবী থেকে লোক আসে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে। ইতিহাস ভূগোল না জেনে দিল্লিতে গেছে রাজনীতি করতে। সুকান্তের এই বক্তব্যের পরেই তোলপাড় শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণহানি প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ছুঁচো মেরে কেউ হাত গন্ধ করতে চায় না। কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যে ওকে মারতে যাবে। উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি বিশেষ করে ইসলামিক উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি থেকে সব থেকে বেশি রিস্ক থাকে ভারতের নেতাদের জন্য। অভিষেক নিজে নীরবে তাদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।