সন্দেশখালি ইস্যুতে সাংবাদিক সুমন দে’কে ডাকা হল ভবানী ভবনে! মমতাকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা সুকান্তর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খবরের শিরোনামে এখন একটাই নাম সন্দেশখালি। সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা রাজ্যে। সন্দেশখালি ইস্যুতে শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীপক্ষরাও। এই অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির।

জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু থেকে শুরু করে এবিপি আনন্দের সাংবাদিক সুমন দে- শাসকের চোখ রাঙানির শিকার হয়েছেন। ইতিমধ্যে, সুমন দে অর্থাৎ এবিপি আনন্দ নিউজের সহ-সভাপতি তথা সঞ্চালকের বিরুদ্ধে তার অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তুর জন্য একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে , অনুষ্ঠানটি হিংসার উদ্রেক করতে পারে ৷

আরোও পড়ুন : রামলালার দর্শন করতে করতেই মস্তিষ্কে হল জটিল অস্ত্রোপচার! “ভগবানের কৃপায়” সুস্থ হলেন রোগী

জানা গিয়েছে, ৪১এ ধারায় নোটিশ জারি করে সন্দেশখালী থানায় তাকে হাজির হতেও বলা হয়। কিন্তু, জনপ্রিয় এই সঞ্চালক হাজির হতে পারেন নি। এরপরেই, সুমন দের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত তুলোধনা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার।

আরোও পড়ুন : ‘BJP পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফল করবেই’, সন্দেশখালির প্রভাব ভোটবাক্সে? বড় মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের

ট্যুইট করে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান যে, সুমন দে’কে আদালত অবমাননার জন্য রবিবার ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম অর্থাৎ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের কন্ঠরোধ করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সন্দেশখালি থানার সামনে থেকে সুকান্ত মজুমদারের ধর্না ঘিরে তুলকালাম শুরু হয়। ১৪৪ ধারা দেখিয়ে জোর করে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হলে গেরুয়া বাহিনী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে অবশ্য জামিনে ধামাখালিতে এনে মুক্তি দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর