বাপ কা বেটি! অনুব্রতর মতই তিহাড়ে ঠাঁই সুকন্যার, সংশোধনাগারে ধর্মগ্রন্থ পড়ার আবেদন কেষ্ট কন্যার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দু’দিন আগেই অনুব্রত কন্যা (Anubrata Mandal) সুকন্যা মণ্ডলকে (Suknya Manda) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED) এবার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জেরায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, গোরু পাচার মামলা (Cow Smuggling Case) সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই, এই কথাই বারবার আউড়ে গেছেন তিনি। বাবার সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছেন সুকন্যা।

১৩ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত কেষ্ট কন্যার : রবিবার সুকন্যা মণ্ডলকে ১৩ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক নরেশ কুমার লাকা। এদিনই তিহাড়ে পাঠানো হবে সুকন্যাকে। এই মুহুর্তে তিহাড়েই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সুকন্যাকে আদালতে পেশ করা হয়। তিনি প্রতিদিন দশ মিনিট করে বাবা এবং বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে ফোনে কথা বলার আর্জি জানিয়েছেন ইডি জানায়, জেল কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে তাদের কোনও আপত্তি নেই। পাশাপাশি সংশোধনাগারে ধর্মীয় বই পড়তে চান সুকন্যা।

Untitled design 2022 08 15T131823.752

পরবর্তী শুনানি ১২মে : জানা গিয়েছে, এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সুকন্যা মণ্ডলকে উপস্থিত করা হয়। অবশ্য নতুন করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়নি ইডির-র পক্ষ থেকে। আদালত তাঁকে ১৩ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মে।

গোরু পাচার মামলায় এর আগে একাধিকবার তলব করা হয় সুকন্যা মণ্ডলকে। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। গত বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিন দিনের জন্য তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে এদিন আদালতে তোলা হয়।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুকন্যা : জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন সুকন্যা। বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। ইডি দফতরের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সুতপাও। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করে নিক। তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর