বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনে দিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) দীর্ঘদিন ধরে স্পেস স্টেশনে আটকে থাকা সুনীতার শারীর পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নাসা (NASA)। যদিও পৃথিবী থেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা সুনীতার শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছেন সহ-নভোচারী বুচ উইলমোর। তবে, সুনীতার সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটা ছবির সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
সুনীতা উইলিয়ামসকে (Sunita Williams) নিয়ে বাড়ছে চিন্তা
ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে থাকা শীর্ণকায় চেহারা হয়ে গিয়েছে সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams)। দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশ ভ্রমণের কারণেই এই অবস্থা বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ৮ দিনের মিশন থাকলেও, বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত গোলযোগের কারণে ৮ মাসের বেশি সময় মহাকাশে রয়েছেন সুনীতা ও বুচ। যদিও মহাকাশকে নিজের হ্যাপি প্লেস বলে বর্ণনা করেছেন সুনীতা। পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি তিনি।
আরোও পড়ুন : অফলাইন অতীত! এবার অনলাইনেই করতে হবে পড়ুয়াদের! পাল্টে গেল মাধ্যমিকের বড় নিয়ম
কিন্তু দিনে দিনে যেভাবে সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) চেহারার দুর্দশা ঘটেছে তাতে যথেষ্ট চিন্তিত নাসা। সুনীতার সর্বশেষ ছবি দেখে রীতিমত আঁতকে উঠেছিলেন একজন কর্মী। মহাকাশ যাত্রা শুরুর সময় সুনীতা উইলিয়ামসের ওজন ছিল প্রায় ১৪০ পাউন্ড। মহাকাশে নিজের ওজন বজায় রাখার জন্য হাই ক্যালোরি খাবার গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে থাকার কারণে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০- ৪০০০ ক্যালোরি প্রয়োজন তাঁর শরীরে। এমনটাই মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
বিশেষ পর্যবেক্ষণ অনুসারে, মহাকাশ ভ্রমণের সময় পুরুষদের তুলনায় দ্রুত পেশীক্ষয় করেন মহিলা নভোচারীরা। দীর্ঘ সময় ধরে বদ্ধ কেবিনে থাকার ফলে বিপদজনক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (Space Station) থাকা নাসার সব নভোচারীকে নিয়মিত মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সুনীতার ক্ষেত্রেও।