বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২৮৬ দিনের দীর্ঘ মহাকাশ যাপনের পর গত ১৯ মার্চ পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। গত বছরের ৫ জুন ৮ দিনের জন্য মহাকাশ সফরে রওনা দেন সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী বুচ। তবে মহাকাশযানে আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় ৮ দিনের মহাকাশ সফর পরিণত হয় ২৮৬ দিনে।
সুনীতার (Sunita Williams) চোখে মহাকাশ থেকে ভারতের বর্ণনা
দীর্ঘ মহাকাশ যাপন সেরে পৃথিবীতে ফেরার পর এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে কেমন দেখতে লাগে ভারতকে (India)? আজ থেকে প্রায় ৪১ বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই প্রশ্নটাই করেছিলেন রাকেশ শর্মাকে।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের পাল্টা বড় পদক্ষেপ! এবার পথে নামতে চাইছে BJP! হঠাৎ কী হল?
প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার উত্তর ছিল, “সারে জাঁহা সে আচ্ছা”। এবার মহাকাশ সফর সেরে সদ্য পৃথিবীতে ফেরা সুনীতাকেও মুখোমুখি হতে হল এই একই প্রশ্নের। মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে লাগে ভারতীয় উপমহাদেশ? এই প্রশ্নের জবাবে সুনীতা বলেছেন, “অপুর্ব, চমৎকার।”
আরও পড়ুন : দলীয় হুইপ অমান্য করেই গরহাজির! মনোজ-সহ তিরিশের বেশি বিধায়ককে নিয়ে বড় পদক্ষেপের পথে TMC
দীর্ঘ ৯ মাস সুনীতারা কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ। এই সময়কালে একাধিকবার সুনীতারা গিয়েছেন ভারতীয় উপমহাদেশের উপর দিয়ে। তখন ঠিক কেমন দেখতে লেগেছিল ভারতকে? সুনীতা জানান, “অপরূপ সুন্দর লাগছিল ভারতকে। আমরা যতবার হিমালয়ের উপর দিয়ে গিয়েছি, ততবার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছে বুচ। সত্যিই চমৎকার।”
সুনীতার কথায়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ভারতের রঙিন ছবি অভিভূত করত তাঁকে। এমনকি নিজের বক্তব্যে গুজরাট ও মুম্বাইয়ের প্রসঙ্গও তোলেন সুনীতা। সুনীতা বলেন, দুই শহরের দৃশ্য কীভাবে বদলে যায় তা দেখতে চমৎকার লাগত। সেখানে উপকূল বরাবর মাছ ধরার জাহাজের বহরের কথাও জানাতে ভোলেননি সুনীতা।
“India is amazing.” More from Suni in this clip: pic.twitter.com/M2ajvyAen9
— NASA (@NASA) March 31, 2025
সুনীতার (Sunita Williams) কথায়, সকালবেলা ভারতকে মহাকাশ থেকে যতটা ভালো লাগে, রাত্রিবেলাও ঠিক ততটাই ভালো লাগে। রাত্রিবেলা বড় শহর থেকে ছোট শহরে যেভাবে আলো ছড়িয়ে থাকে, তাও অত্যন্ত মনমুগ্ধকর বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন মহাকাশচারী (Astronaut)।