বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) বিতর্ক বিপাকে মমতা সরকার। গত সোমবার এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ‘এই ছবি রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে’। বাংলার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্মাতারা।
শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি ছিল। পর্যবেক্ষণে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে চলেছে শুনানি। কেন বাংলায় নিষিদ্ধ এই ছবি? জবাব চেয়ে রাজ্যকে নোটিশ ধরালো দেশের শীর্ষ আদালত। বাংলার পাশাপাশি তামিল নাড়ু সরকারকেও নোটিশ ধরিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতাদের হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি জানান, ‘এক রাজ্য কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, অপর রাজ্য সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্টের ক্ষমতা ব্যবহার করেছে’। বাংলায় জারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সওয়াল করেন হরিশ সালভে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। ‘ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট রয়েছে রাজ্যের হাতে’ এমন দলিল দেন সিংভি। যদিও তা ধোপে টেকেনি। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, ‘দেশের অন্যান্য অংশেও এই ছবি মুক্তি হয়েছে। পশ্চিবঙ্গ তাদের চেয়ে আলাদা নয়, তাহলে কি এটা অন্যত্র মুক্তি পেত? পশ্চিমবঙ্গের যা ডেমোগ্রাফিক প্রোফাইল সেই একই প্রোফাইলের সমস্ত রাজ্যে এই ছবি নির্বিঘ্নে প্রদর্শিত হচ্ছে। এর সঙ্গে ‘সিনেম্যাটিক ভ্যালুর’ কোনও লেনাদেনাই নেই, ছবি তো ভালো-খারাপ হতেই পারে’।
মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ এবং সিনেমার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টে। হরিশ সালভে অভিযোগ তোলেন, আগেও বাংলাতে বেশ কয়েকবার সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।