বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির কাছে কোনও বিল পাঠানো হলে তাঁদের কী করা উচিত, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তামিলনাড়ুর করা মামলার রায়ে সেই বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বিল আটকে রেখে অনির্দিষ্টকাল নীরব থাকা চলবে না, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা আদালতও নির্ধারণ করতে পারে না বলেও জানানো হয়েছে।
কী ব্যাখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছিল। অর্থাৎ, কোনও বিল রাজ্যপালের কাছে গেলে তিনি যদি সই না করেন, তবে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে সেই বিল ফের বিধানসভায় পাঠাতে হবে। তিনি বিল আটকে রাখতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার আবার সেই বিষয়েই ব্যাখ্যা দেয় প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি এএস চন্দরকর। আদালত জানায়, কোনও রাজ্যপালের সামনে তিনটি পথ থাকে—
১) বিলটিতে সই করা,
২) বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো,
৩) সই না করে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠানো।
এগুলোর মধ্যে কোনটি তিনি করবেন, সেটা পুরোপুরি রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত। আদালত এতে নাক গলাতে পারে না। প্রধান বিচারপতি জানান, সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় আদালতও (Supreme Court) ঠিক করে দিতে পারবে না। তবে আদালত (Supreme Court) এটাও বলেছে যে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি অনেক দিন ধরে কোনও বিল নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না নিলে, বা কোনও ব্যাখ্যা না দিলে, তখন আদালত সীমিতভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অর্থাৎ দায়িত্ব পালন করতে তাঁদের বলা যেতে পারে।
এদিকে, সংসদের ২০০ ও ২০১ ধারায় রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির কাজকর্মের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনও বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার জন্য কোনও সময়সীমা নেই। এই নিয়েই বহুবার বিতর্ক হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগের যে রায়ে তিন মাসের কথা বলেছিল, তা নিয়ে আপত্তি তোলেন উপরাষ্ট্রপতি-সহ আরও অনেকে। প্রশ্ন ওঠে- আদালত কি আদৌ রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিতে পারে?

আরও পড়ুনঃ শোধরানো যাবে অনিচ্ছাকৃত ভুল! অবশেষে BLO-দের দাবিতে ‘এডিট’ অপশন চালু করল নির্বাচন কমিশন
এই নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টকে ১৪টি প্রশ্ন পাঠান। কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের মতামত নিয়ে জুলাই থেকে শুনানি চলছিল। কেন্দ্র জানায়, তারা রাজ্যপালের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে না।শেষে আদালত (Supreme Court) জানায়, বিল আটকে রাখা যাবে না, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা যাবে না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা আদালত ঠিক করে দিতে পারবে না।












