বাংলাদেশি সন্দেহে আটক বিতর্কে নির্দেশ নয়, কেন্দ্র-রাজ্যের মত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত

Published on:

Published on:

Supreme Court declines interim relief in Bangladeshi suspicion case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগে তোলপাড় দেশ। অভিযোগ, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে চলছে হেনস্থা। এই বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে অযথা বহু মানুষকে আটক করছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সব পক্ষের আইনজীবী এদিন উপস্থিত ছিলেন না।

নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলে বাংলাদেশ থেকে বৈধ নথি-সহ যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের জন্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। যদিও মামলার মূল শুনানি চালিয়ে যেতে কোনও আপত্তি করেনি আদালত। বরং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)।

বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানায়, “যেসব রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করছে, তাদের সম্পর্কে জানতে চাওয়ার অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের।”

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় চলছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাভাষী হলেই তাঁদের সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ধরে আটক করা হচ্ছে, এমনকি হেনস্থাও করা হচ্ছে। মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে (Supreme Court) অভিযোগ করেন, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই লোকজনকে আটক ও কখনও নির্যাতন করা হচ্ছে, যা অনৈতিক। তিনি অন্তর্বর্তীভাবে ধরপাকড় বন্ধ রাখার আর্জি জানান।

Supreme Court declines interim relief in Bangladeshi suspicion case

আরও পড়ুনঃ SSC নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ১৬টি বিলাসবহুল ভিলার হদিস, নিউটাউন-পার্ক স্ট্রিটে তল্লাশি ইডির

এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাভাষী মানুষের ন্যায়বিচারের জন্য তাঁরা শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলাবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করার সংকল্পও প্রকাশ করেন তিনি। আগামী ২৫ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির (Supreme Court) দিকে এখন নজর রাজ্যের।