বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন। শুক্রবার এই খবরেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে পাঁচ দফা অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক। বিচারপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সেই আবেদনই সর্বোচ্চ আদালত ফেরত পাঠিয়েছিল বলে জানা যায়। আর এই আবহেই এবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি কোনও আবেদন খারিজ করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণালবাবু জানিয়েছেন, পুরো কথাই ভুল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ করেনি। বিচারপতি গাঙ্গুলি ও অপর এক বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু সেই পিটিশন একটি মডিফিকেশন অ্য়াপ্লিকেশন ছিল। কারণ এর উপর একটা মামলা আগেই হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে মামলা সরিয়ে নিয়েছিল।
তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, রেজিস্ট্রার সাহেব বলেছেন, আগের বারের যে মামলা ছিল সেটার ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। মডিফিকেশন অ্য়াপ্লিকেশন দেবেন না। ফ্রেস পিটিশন দিন। অভিষেকের আইনজীবী ফ্রেস Cause of Action দেখিয়ে একটা পিটিশন দেবেন। খারিজ টারিজ কিছু না। এটা হাইলি টেকনিক্যাল ম্যাটার।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেসুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি সরানোর বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান অভিষেক। গতকাল শুনানিতে ওঠার আগেই অভিষেকের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। বলেছিলেন , “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে?” অভিষেককে একটা হলফনামা দিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কথাও বলেন বিচারপতি। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এই আবহে বিচারাধীন কোনও মামলা বা বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করার জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
আরও পড়ুন: আরও ৩ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা! আজ থেকে শীতের মরণ কামড় এই ৫ জেলায়, আবহাওয়ার খবর
তৃণমূল সাংসদের আবেদন ছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন বা পদক্ষেপ করেন সেই আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। নেতার আরও অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যেভাবে বিচারপতি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তা বিচারব্যবস্থার নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধাচরণ। আদালতের ভিতরে বা বাইরে বাদী-বিবাদী পক্ষকে নিয়ে বিচারপতির করা একাধিক মন্তব্য যাতে কোনও ভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত না করে, সেই বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান অভিষেক।
পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলি (যেগুলি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন) তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখানে স্থানান্তর করার আর্জিও জানিয়েছিলেন অভিষেক।