বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি শিক্ষক যোগ্যতার পরীক্ষা অর্থাৎ TET নিয়ে বড় ঘোষণা করলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ঘোষণায় বলা হয়েছে, চাকরি ধরে রাখতে অথবা পদোন্নতির জন্য অবশ্যই শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। আদালতের এই রায় কার্যকর হবে বর্তমান কর্মরত শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও। রায়ে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী দু’বছরের মধ্যে পরীক্ষা পাস না করলে চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
চাকরি বাঁচাতে অথবা পদোন্নতির সুযোগ পেতে TET বাধ্যতামূলক, বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) ২০১১ সালের ২৯ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য TET বাধ্যতামূলক করেছিল। এতদিন পর্যন্ত মনে করা হয়েছে যে, ওই বিজ্ঞপ্তির আগে চাকরিতে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের জন্য হয়তো এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এখন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চাকরি বাঁচাতে অথবা পদোন্নতির সুযোগ পেতে হলে তাঁদেরও পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
তবে সকলের ক্ষেত্রে সমান নিয়ম প্রযোজ্য হবে না বলে জানান হয়েছে। আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলগুলির শিক্ষকরা এই বাধ্যবাধকতার বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি যাঁদের অবসরের বাকি আর পাঁচ বছরেরও কম, তাঁদেরও এই নিয়ম মানতে হবে না। তবে তাঁদের পদোন্নতি আটকে যাবে। কিন্তু যাঁদের হাতে অবসর পর্যন্ত পাঁচ বছরের বেশি সময় রয়েছে, তাঁদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাঁদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, দু’বছরের মধ্যে TET পাশ করতেই হবে, না হলে চাকরি খোয়ানোর সম্ভাবনাও প্রবল।
এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি দীপাঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ। শিক্ষকদের যোগ্যতা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেওয়া হয়। মূল মামলা ছিল অঞ্জুমান ইশা-এ-তালিম ট্রাস্ট বনাম মহারাষ্ট্র রাজ্য ও অন্যান্য, যেখানে ট্রাস্টটি RTE আইনের কয়েকটি ধারা এবং TET বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, বড় বেঞ্চ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ‘এক দেশ, এক কর’ থেকে ‘সহজ কর’! GST ২.০-এর পরেই কি আসছে GST ৩.০?
আদালতের (Supreme Court) এই রায়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষকের ওপর। উত্তরপ্রদেশে আছেন ১৬ লক্ষের বেশি শিক্ষক, মধ্যপ্রদেশে প্রায় ৭ লক্ষ, রাজস্থানে ৮ লক্ষেরও বেশি শিক্ষক, তাঁদের সকলের উপরেই চাপ তৈরি হয়েছে। এখন তাঁদের হাতে সময় মাত্র দু’বছর। এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা পাশ করতে না পারলে পদোন্নতির স্বপ্নও ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।