বাদ পশ্চিমবঙ্গ ও তেলঙ্গানা, পথকুকুর মামলায় সমস্ত মুখ্যসচিবদের হাজিরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Published on:

Published on:

Supreme Court except West Bengal and Telangana all Chief Secretaries ordered to appear in Pathkukur Kolay

বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্ট্রে ডগ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানা বাদে বাকি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মুখ্য সচিবদের তলব করেছে। এবং তারা প্রাণীর জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিধি বাস্তবায়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপে সম্পর্কিত হলফনামা দাখিল করেনি। প্রসঙ্গত গত ২২ আগস্ট আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেন এই নিয়ম বাস্তবায়নে সম্পর্কিত হলফনামা দাখিল করে।

পথ কুকুর সংক্রান্ত মামলায় এবিসি নিয়ম ভঙ্গে মুখ্য সচিবদের তলব করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

আর এই বিষয়ে বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা ও বিচারপতি এন.ভি. অঞ্জারিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা ও দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে ওই হলফ নামার দাখিল করা হয়েছে। ফলে আদালত (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে আগামী সোমবার বাকি রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবেরা হাজির হয়ে তারা ব্যাখ্যা দেবেন কেন হলফনামা দাখিল করেননি।

Supreme Court except West Bengal and Telangana all Chief Secretaries ordered to appear in Pathkukur Kolay

আরও পড়ুন: কমল সোনার দাম, অক্টোবরের শেষে বাজারে হলুদ ধাতুর দর কত জানুন

এই পরিস্থিতিটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বিক্রম না জানান, আদালত ইতিমধ্যে সমস্ত রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রের নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সেই নির্দেশ সংবাদমাধ্যমে ও ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিচারপতি নাচ বলেন, একের পর এক ঘটে যাওয়া ঘটনার ফলে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে রাষ্ট্রগুলি চোখে নিচে নেমে যাচ্ছে। এই সংবাদগুলি তাদের চোখেও পড়ছে।

তিনি বিশেষভাবে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অর্চনা পাঠক দে–কে জিজ্ঞাসা করেন, কেন দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের সরকার এখনও পর্যন্ত। এছাড়াও, দিল্লির এনসিটি এখনও হলফনামা জমা দেয়নি কেন সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ দিল্লি সরকারের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, শহরের পথকুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হবে এবং তাদের মুক্তি দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশ নয়ডা, গুরগাঁও ও গাজিয়াবাদ প্রশাসনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করা হয়েছিল। তবে পরে বিষয়টি তিন বিচারপতির বেঞ্চে হস্তান্তরিত হয়, যারা ২২ আগস্ট আগের নির্দেশ স্থগিত রাখেন। আদালতের মতে, চিকিৎসা ও টিকা দেওয়া কুকুরদের মুক্তি না দেওয়া অতিরিক্ত কঠোর পদক্ষেপ। এছাড়া এই মামলাটির ক্ষেত্র সারা দেশব্যাপী করে দেওয়া হয়।