বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে বাড়িতে চলছে ইডি তল্লাশি। এরই মাঝে বড় ধাক্কা খেলেন আর জি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সন্দীপবাবুর মামলা ফেরাল সর্বোচ্চ আদালত। অতঃপর আরও বিপদ বাড়ল তার।
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হন। আখতার আলি ছিলে সন্দীপের (RG Kar-Sandip Ghosh) প্রাক্তন সহকর্মী। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আর জি করেই কর্মরত ছিলেন আখতার। সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারি নিষ্ক্রিয়তা এবং ইডি তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আখতারবাবু।
অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তভার SIT-র থেকে নিয়ে সিবিআই কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।পরে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে আরেক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। হাইকোর্টের সিবিআই নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ।
আরও পড়ুন: ঘুরে গেল মোড়! সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি নিয়ে বিরাট আপডেট, তোলপাড়
তার আবেদন ছিল, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মূল যে ধর্ষণের মামলা, এই দুই বিষয় একসঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এই নিয়েই আপত্তি জানিয়ে হয়েছিল মামলা। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামালা শুনানির জন্য উঠলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় সিবিআই তদন্তের উপর এখনই তারা হস্তক্ষেপ করছে না। যেমন তদন্ত চলছে তেমনই চলবে।
ওদিকে এদিন সকালেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। জানা গিয়েছে এদিন ভোর ৬ টা ২৫ নাগাদ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করে ইডি। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ির দরজা খোলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। তারপর থেকে চলছে তল্লাশি।
এদিন ক্যামেরার সামনে সন্দীপ পত্নীর দাবি, ‘না না …ও কিচ্ছু করেনি। আপনারা সব বুঝতে পারবেন। আমরা তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করবো।’ তার আরও দাবি, সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণই পায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সব অভিযোগই মিথ্যে। স্বামী কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও দাবি করেন সন্দীপের স্ত্রী।