বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে সিবিআইয়ের (CBI) মামলা থেকে অব্যাহতি মেলেনি। ফলে এখনও জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এবার সেই মামলাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নোটিশ দিল আদালত।
পার্থর মামলায় সিবিআইকে কেন নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ পাঁচজনের জামিনের ক্ষেত্রে একমত হতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যে কারণে সেই মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গেল বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেখানে পার্থদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার জামিনের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানান, ইডির মামলায় শীর্ষ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তাঁর মক্কেল। তবে সিবিআইয়ের মামলার জন্য এখনও তিনি জেলবন্দি। শুক্রবার এই মামলাতেই সিবিআইকে নোটিশ জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২০ মার্চ।
আরও পড়ুনঃ পেশায় ক্লার্ক তৃণমূল নেতার বিপুল সম্পত্তি! টাকার উৎস কী? খতিয়ান তুলে ধরে আক্রমণ তরুণজ্যোতির
সাধারণত, কোনও পক্ষ যদি মামলা করে, তাহলে সেই মামলায় নোটিশ জারি করে অন্য পক্ষদের সেই বিষয়ে জানানো হয়। শুনানির দিন যাতে প্রত্যেক পক্ষ হাজির থাকতে পারে, সেই কারণে আগে থেকেই এই নোটিশ জারি করা হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মামলা উঠলে সিবিআইকে এই ধরণের একটি নোটিশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) থেকে জামিন পাওয়ার পর সিবিআইয়ের মামলা থেকেও জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ ৯ জনের মামলা উঠেছিল উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সকলের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পার্থ সহ পাঁচ জনের জামিনের বিপক্ষে মত দেন বিচারপতি সিনহা রায়। এরপর এই মামলা তৃতীয় বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেখানেও পার্থদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাই এবার জামিন চেয়ে সোজা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।