বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধোপে টিকলো না রাজ্যের যুক্তি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশই বহাল রইল। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় জয় পেলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী (Sayan Lahiri)। সোমবার রাজ্যের মামলা খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সায়ন লাহিড়ী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচির আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম। সেই অভিযানে অশান্তির ঘটনা ঘটে। মোট ৪১ জন পুলিশ জখম হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বিচারপতির প্রশ্ন, অভিযুক্ত কী সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? জবাবে রাজ্য জানায়, না। কিন্তু এই নবান্ন কর্মসূচীর অন্যতম আহ্বায়ক তিনি। রাজ্যের তরফে আদালতে সায়ন লাহিড়ীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সায়নের মা বলেছেন ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। সেই বিষয়ে পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘জামিন পাওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’
আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৭ অগস্ট বার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। সেই অভিযান ঘিরে দফায় দফায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। দু’পক্ষেরই বেশ কিছুজন গুরুতর আহত হন। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও মিছিল, জমায়েত করা হয়েছে। যার জেরে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই যুক্তিতেই ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এই প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: DA আন্দোলনের মুখ! এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর, হঠাৎ কী হল?
এরপর গত শুক্রবার হাইকোর্টে মামলা উঠলে ছাত্রনেতা সায়নকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো ছেড়ে দিলেও সেই দিনই সায়নের মুক্তির বিরোধীতায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। তবে সেখানেও জোর ধাক্কা।